• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘পাঠান’ মুক্তি না পেলে হল বন্ধের আলটিমেটাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
‘পাঠান’ মুক্তি না পেলে হল বন্ধের আলটিমেটাম

দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে বলিউডের সিনেমা ‘পাঠান’ প্রদর্শন করতে না দিলে যেকোনো সময় সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপরে  রাজধানীর ইস্কাটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।

‘সিনেমা হল বাঁচলে, চলচ্চিত্র বাঁচবে’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেছেন, “এমতাবস্থায় সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করি।”

এর আগে ‘পাঠান’ মুক্তি দেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন নির্মাতা-প্রযোজক-পরিবেশক অনন্য মামুন। বিষয়টি নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর মতামত জানতে চায় মন্ত্রণালয়। সমিতিগুলোও জানায় সবুজ সংকেত। কিন্তু এরপরও মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের কোনো খবর আসছে না। এই নীরবতাকে ‘না’ সূচক সিদ্ধান্ত মনে করছেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা। সেজন্যই তারা সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন।

সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, “তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আমাদের প্রতিনিধিদের সচিবালয়ে ডেকে বলেছিলেন, ‘পরিচালক ও শিল্পী সমিতির অনাপত্তি থাকলে সরকার বছরে অন্তত ১০টি উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেবে।’ এরপর চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’-এর ব্যানারে প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি জানিয়ে লিখিত প্রস্তাবনা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। সকল বাধা অপসারিত হওয়ার পরও আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ‘না’ সূচক মনোভাবের পরিচায়ক।”

হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, “আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আর পারছি না। উপমহাদেশের সিনেমা না এলে আর হল বাঁচানো সম্ভব হবে না। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনে লিখিত আবেদনের সুবাদে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেও এখনো লিখিত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তাই হলগুলোতে পাঠান মুক্তি দিতে পারেননি হল মালিকরা।”

আওলাদ হোসেন আরও বলেন, “হতাশার মধ্যে সিনেমা হল বন্ধের নির্দেশনা আসতে পারে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন একে একে সব সিনেমা বন্ধ করে দিচ্ছে তারা।”

লায়ন সিনেমাসের মির্জা আবদুল খালেক বলেন, “সরকার হয়তো চাচ্ছে না আমরা সিনেমা হল পরিচালনা করি, সিনেমা থেকে ব্যবসা করি। যদি চাইতো তাহলে আমাদের দিকে কিছুটা হলেও মনোযোগ দিত। আমাদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসে যেতে হবে।”

মির্জা আবদুল খালেক আরও বলেন, “গত ১০ মাসে আমাদের হলে ৪০টা সিনেমা চলেছে। মোট ৫৩ হাজার দর্শক বাংলা সিনেমা দেখেছে। তারমধ্যে হাওয়া ও পরাণ দেখেছে ৩৬ হাজার দর্শক। অন্য সিনেমাগুলোর অবস্থা খারাপ। শুক্রবার একটা সরকারি অনুদানের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, ১২ জন সিনেমা দেখেছে। এমনভাবে চলতে থাকলে কীভাবে হবে?”

Link copied!