• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অভিনেতা সিদ্দিকের ওপর হামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
অভিনেতা সিদ্দিকের ওপর হামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। নেওয়ার সময়ও কেউ তার গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক।

এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি, দক্ষ অভিনেতা  আজাদ আবুল কালাম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা মব ভায়োলেন্স। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন জানি মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই!’

শিল্পী সংঘের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে কিছু লোক। দলবদ্ধভাবে এসে শারীরিকভাবে আঘাত করছে, আক্রমণ করছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলছে, এরপর থানায় নিয়ে সোপর্দ করছে। 

থানায় নিয়ে সোপর্দ করতেই যদি হয়, তাহলে প্রথম থেকে তারা আইন হাতে তুলে নিল কেন। তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে, এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় আরও নানান স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হাতে দমন করবে সরকার বলে আমার বিশ্বাস।’

আজাদ আবুল কালামের ভাষ্যে, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না।

তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে দিলেন এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরও বাড়বে।

 আমরা যে ইনক্লুসিভ সমাজের কথা বলছি বা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, যে আকাঙ্ক্ষার জন্ম দিয়েছে, সেই একটা ইনক্লুসিভ সমাজে বিভেদ থাকবে না, সমঝোতার জায়গা তৈরি হবে সমাজে; এমনটা চলতে থাকলে সেটা কীভাবে হবে? এভাবে চলতে থাকলে তো বিভক্তি আরও বাড়বে। চলতে থাকবে, চলতে থাকবে। যা ঘটছে, প্রতিটি কাজই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’

Link copied!