• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৬

হাতের তালুতে লিখে নতুন বার্তা দিলেন পরীমনি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০১:০৪ পিএম
হাতের তালুতে লিখে নতুন বার্তা দিলেন পরীমনি

মাদক মামলায় ২৭ দিন কারাগারে ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। গত ১ সেপ্টেম্বর জামিনে বের হন তিনি। সেদিন কারাগার থেকে বেরিয়ে গাড়ির সানরুফ তুলে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উপস্থিত উৎসাহী মানুষদের অভিবাদন জানান। তার হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। যার বাংলা ভাবার্থ দাঁড়ায়, তোমাদের ভালোবাসার পরোয়া করি না। গোল্লায় যাও তোমরা। সেদিন তিনি তার সুসময়ের বন্ধুদের উদ্দেশে এই বার্তাটি দিতে চেয়েছেন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাজিরা দিতে ঢাকার মহানগর মুখ্য আদালতে এসেছিলেন। তখন একইভাবে গাড়ির সানরুফ তুলে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের নতুন বার্তা দিলেন। এ সময় তার হাতে লেখা ছিল, ‘ফাক মি মোর’। প্রতীকী এই বাক্যের ভাবার্থ হলো, আমাকে আরও বেশি অপবাদ দাও। 

মূলত, পরীমনির নাম মাদককাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পর নানা রকম অপবাদের মুখে পড়েন তিনি। নানাভাবে তার চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। সেসব অপবাদের প্রতীকী প্রতিবাদ জানালেন এই অভিনেত্রী। 

এদিকে এদিন সকাল ১১টার আগে তিনি আদালতে পৌঁছান। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। 

এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্ত হন পরীমনি। সে হিসেবে আজ যদি পরীমনির মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, তাহলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন বিচারক।

গত ৪ আগস্ট বিকেল চারটার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর ২২ আগস্ট পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবীরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে জামিন শুনানির জন্য ২১ দিন পরে দিন ধার্য করায় ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পরীমনি।

পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে (১৩ সেপ্টেম্বরের আগে) দুই দিনের মধ্যে তা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

 

Link copied!