• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি
শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।  

এর আগে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের (২১-২২ সেশন) শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন,“আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার  না হওয়া পর্যন্ত  আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। রেজিস্টার  অফিস  আদেশ জারি করে মতিনকে  সাময়িক বহিষ্কার করলেও ওই আদেশে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। আমরা চাই রেজিস্টার আদেশে যৌন হারানি ও ধর্ষণচেষ্টার কথাটি উল্লেখ করে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক।”

রসায়ন বিভাগের (২০১৯-২০২০ সেশন) শিক্ষার্থী ফারজানা আহাম্মেদ বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে দুইটি দাবি করছি, একটা হচ্ছে ধর্ষক মাহবুবুল মতিনকে স্থানী বহিষ্কার, আরেকটি হচ্ছে প্রশাসন বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।”

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার বলেন, “আমরা প্রশাসন থেকে আমাদের দাবি মোতাবেক কোন সিদ্ধান্ত পাচ্ছি না। আমাদের দাবি অনুযায়ী প্রশাসন শাস্তি না দিলে আমাদের আন্দোলন আরও দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাব।”

জানতে চাইলে বিশ্ববদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, “আমরাও চাই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসতে পাঁচ সাত দিন লাগতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একটা মানুষের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত শাস্তি দিতে পারি না। অভিযুক্তের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে আমরা তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দিব।”

Link copied!