• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা, আহত ৫


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা, আহত ৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

শুক্রবার (১মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্থানীয়দের সঙ্গে চবি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ছাড়া স্থানীয়রা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে তাদের মামলাও নেওয়া হয়নি।

সেই জের ধরে স্থানীয়রা শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট অবরোধ করে রাখেন এবং রেলক্রসিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের বেধরক মারধর করা হয়। এ সময় লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত ও মায়েশাসহ আরও ৩জন  দুজন শিক্ষার্থী আহত হন।

হামলার শিকার চবি শিক্ষার্থী মায়েশা বলেন, “আমি ও আমার বন্ধু শাহাদাত সিএনজিতে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি স্থানীয়রা রেলক্রসিংয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন, যান চলাচল করতে দিচ্ছেন না। পরে আমরা সিএনজি থেকে নেমে হেঁটে ১ নম্বর গেট যেতে চাইলে স্থানীয় পাঁচ-ছয়জন কাঠ দিয়ে শাহাদাতের ওপর হামলা করেন। ওর মাথা ফেটে গেছে, পিঠে ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরে আরও ৩০-৩৫ জন এসে আমাদের ধমক দিতে থাকে এবং বলে আমরা নাকি রাজনীতি করি, ছাত্রনেতা।”

আহত শিক্ষার্থী শাহাদাত বলেন, “আমরা তিনটার দিকে ১ নম্বর গেটে যাওয়ার উদ্দেশে গোলচত্বর থেকে সিএনজিতে উঠি। পরে অটোরিকশাটি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় লোকজন পথ আটকে আমাদের এলোপাথাড়ি মারধর করেন। আমার বন্ধু মাইশার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও মাথার চুলও কিছুটা পুড়িয়ে দিয়েছেন তারা। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় বাসিন্দা বখতিয়ার উদ্দিন। তিনি বলেন, “কাউকে মারধর করা হয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি।“

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক সেকেন্দর চৌধুরী মোবাইল ফোনে বলেন, “অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”

Link copied!