• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অবন্তিকার মৃত্যুতে মায়ের মুখে উঠে এলো আরও ৬ জনের নাম


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
অবন্তিকার মৃত্যুতে মায়ের মুখে উঠে এলো আরও ৬ জনের নাম
অবন্তিকা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক–সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আরও ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছেন তার মা।  

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার জানিয়েও হয়রানির বিচার পাননি তারা। এ কারণেই তার মেয়ে অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছেন। আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আম্মান, রাফি, মাহিয়ান, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা ও দ্বীন ইসলাম আমার মেয়ের জীবনটাকে বিষিয়ে তুলেছিল। তারা বিভিন্নভাবে আমার মেয়েকে হয়রানি করে আজকের অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

কুমিল্লায় নিজ বাসায় বিলাপ করছিলেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তিনি বলছিলেন, “আমি তো কোনো দিন কারও কোনো ক্ষতি করি নাই। আমার মেয়ে তো চলে গেল, এক বছর আগে আমার স্বামী চলে গেছে। আজ আমি মেয়েকেও হারালাম। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমার জীবনের কোনো মানে নেই, ছেলেসহ আমিও সুইসাইড করলেও কোনো মানে থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য। আমার মেয়ে যাতে ভালোভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারে, সেটি আর হলো না। ওদের জন্য আমি মেয়ে হারিয়েছি, আমি তাদের বিচার চাই।”

এদিকে এই ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং আম্মান সিদ্দিকীকে সহায়তাকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি এবং সেই সঙ্গে সাময়িক বহিষ্কার করেন।

এইদিকে গতকাল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড সাদেকা হালিম বলেন, “যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আইন অনুযায়ী চলে। সে আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে। তদন্ত ছাড়া আমরা আইনের বাইরে গিয়ে এটা করতে পারি না। আমার হাতে যা আইন আছে, সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, আমি এ যৌন হয়রানির যে অভিযোগ বা রিপোর্ট, তার ব্যাপারে জানতাম না। জানলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতাম। আমি শোনামাত্রই বর্তমান প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি। আসন্ন সিন্ডিকেটে যতগুলো যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে, সব নিষ্পত্তি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আইনে চলে। আইনের সব ধারা-উপধারা ব্যবহার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!