চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম, ২য়, ৬ষ্ঠ এবং সপ্তম এই চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩য়, ৪র্থ, পঞ্চম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন এ শিক্ষাক্রমে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ৪ লাখ ২০ হাজার শিক্ষককে নতুন শিক্ষাক্রমে প্রশিক্ষিত করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম একবারে নতুন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শিক্ষকদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তুলতে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সারা দেশের ৪ লাখ ২০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ৪০৬ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই ধাপে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, নতুন কারিকুলামের জন্য শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। এরমধ্যে ব্যাপক পরিসরে সারাদেশের ৪ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য প্রথমে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই মাসে দেশের সব উপজেলায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হবে। তারাই পরবর্তী সময়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
তিনি জানান, বার্ষিক পরীক্ষার পর ডিসেম্বর মাসে শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে শেষ হবে ৭ ডিসেম্বর। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রশিক্ষণ।
জানা গেছে, ৪ লাখ ২০ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক সাত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ নেবেন। সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিমের মাধ্যমে এই কার্যক্রম চলবে। গত বছরে মাঝামাঝিতে নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুমোদন দেয় সরকার। এনসিটিবি থেকে জানানো হয়, মাধ্যমিক স্তরে ৬৪ জেলায় প্রতি বিষয়ে তিনজন করে মূল প্রশিক্ষক বা মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হবে। তারা প্রতিটি উপজেলায় প্রতি বিষয়ে তিনজন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।
দেশের ৬৪ জেলাকে ৩৬টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ক্লাস্টারের ১১টি বিষয়ের জন্য (সবার জন্য ১০টি বিষয় ও হিন্দু ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম মিলিয়ে ১১টি বিষয়), বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি—এ নয়টি বিষয় সবার জন্য কমন এবং ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টধর্মসহ মোট ১০টি শিক্ষার্থীদের আর শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৪টি ধর্মসহ মোট ১৩টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ হবে।