ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর ধরই সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের একটি অংশ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এবার দেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির পরিবর্তে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র পক্ষ থেকে এ আবেদন দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন সমিতির আহ্বায়ক এ কে এম আজাদ ও সদস্যসচিব মো. আব্দুল মূবীন।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে চালু করা শিক্ষা বিধ্বংসী লটারি পদ্ধতি ২০২৬ সালেও বিদ্যমান থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত অভিভাবকরা অবগত হয়েছেন। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিপক্ষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবন ধংসের ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতিকে বিশেষভাবে দায়ী করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা ও অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা লাঘবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বাতিল করে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহাল করা জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা একান্তভাবে কাম্য নয়।
‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে লটারির পরিবর্তে ভর্তি পরীক্ষা চালু করতে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি শিক্ষা মন্ত্রলায়ের ২০২৬ সালের ভর্তি কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছে’ বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যসচিব আব্দুল মূবীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও দাবির প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন দিয়েছি। মাউশির ডিজির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আবেদনটি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের এ দাবি বা পরামর্শের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।’



































