দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট আজ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এই ভোট গ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। কয়েক প্রজন্ম পর ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফিরে আসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা কাজ করছে। বহু বছরের চেপে থাকা ক্ষোভ আর বঞ্চনার অবসানের প্রত্যাশা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রে নিজেদের রায় দেবেন আজ।
নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রায় ৮০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট ১১ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৬৭ জন করে পোলিং ও সহকারী পোলিং কর্মকর্তা। কোনো ভোটারের ব্যালট পেপার নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করে নতুন ব্যালট দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একইসঙ্গে ২১টি হল সংসদের ৩১৫টি পদের জন্য ৪৭৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে, ছাত্রীদের ১০টি হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী না থাকায় এবং ৬৭টি পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় সেখানে মাত্র ২৪টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনে মোট সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের 'সম্প্রীতির ঐক্য’ এবং ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) সমর্থিত 'শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। এ ছাড়া তিনটি আংশিক প্যানেল ও অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন।