• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২, ১০ মুহররম ১৪৪৬

জাবির বাজেটে বরাদ্দ কমেছে চিকিৎসায়, বেড়েছে গবেষণায়


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ০৬:১২ পিএম
জাবির বাজেটে বরাদ্দ কমেছে চিকিৎসায়, বেড়েছে গবেষণায়

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। এ বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ৪০ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার টাকা।

এবারের বাজেটে বরাদ্দ কমানো হয়েছে চিকিৎসা খাতে তবে বাড়ানো হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ এবং গবেষণা খাতে।

রোববার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়ালি সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ বাজেট পাশ হয়।

এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ খাতে ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা, এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে পেনশন বাবদ ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং তৃতীয় অবস্থানে প্রশাসনিক খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আবাসিক হল সমূহে ২৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, ভর্তি খরচ বাবদ ১২ কোটি টাকা। অন্যান্য ভাতা ৯ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গবেষণায় ৪ কোটি টাকা এবং চিকিৎসায় ২ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার টাকা এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

বাজেটের মূল আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রাপ্ত ২৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা মূল বাজেটের প্রায় ৮৯.৩০ শতাংশ। এছাড়া আভ্যন্তরীণ আয় ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা যা মূল বাজেটের ১০.৭০ শতাংশ।

এবারের বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে চিকিৎসা খাত। চিকিৎসা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার টাকা যা গত বছর ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে এই খাতে কমেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

বাজেটে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ বাবদ বেড়েছে ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই খাতে গত বছর বরাদ্দ ছিলো ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া গবেষণা খাতেও বেড়েছে বরাদ্দ। গতবছর গবেষণা খাতে বাজেট ধরা হয়েছিলো ৩ কোটি টাকা তবে এবার বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ৪ কোটি টাকা।

চিকিৎসাখাতে বাজেটের বরাদ্দ কমানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে শতভাগ আবাসিক বলে দাবি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিলো চিকিৎসা খাতে বাজেট বাড়ানো। করোনা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা খাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নতুন চিন্তার দরকার ছিলো। চিকিৎসা কেন্দ্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, করোনা টেস্ট সেন্টার বানানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এ খাতে বাজেট বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো। এটা খুব বিস্ময়কর যে করোনা আসার পরেও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার দাবি বহু পুরোনো, সেদিকেও চিন্তা নেই।’

Link copied!