• ঢাকা
  • সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ মুহররম ১৪৪৬

৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচন চায় চবি ছাত্রশিবির 


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচন চায় চবি ছাত্রশিবির 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ মোট ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

 আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম তার লিখিত বক্তব্যে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের দাবি করেছেন।

রোববার (২৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “আমাদের উপস্থাপিত সাত দফার প্রথম দফা হলো- আবাসন ব্যবস্থার সংস্কার। ইতোমধ্যে ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো এই শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই নূন্যতম কোনো পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস হয়েও স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে কম আবাসন সুবিধা পাচ্ছে চবি শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে। বিগত ৩৬ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। চাকসু সচল না থাকায় শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্খাগুলো প্রতিফলিত হয়নি দীর্ঘ সময়েও। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রসংসদ নির্বাচনের নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সেখানে খুনি হাসিনা পতনের ১০ মাসেও চাকসু নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ প্রকাশ করতে পারেনি বর্তমান প্রশাসন। প্রশাসনকে জানাতে চাই গড়িমসি না করে ৩৬ জুলাই এর মধ্যে চাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে।”

শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চবি সংস্কারে সাত দফা সংবলিত বুকলেটের বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও প্রস্তাবনা উল্লেখ করেন। আবাসন প্রস্তাবনায়  তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার ৫ শত ১৫ জন  শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসিক শিক্ষার্থী মাত্র ৬৪০০। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ২২.২১ শতাংশ। একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাসিক গড়ে ৩৭৯৪ টাকা খরচ করছে। এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যেক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাই এই বৈষম্য নিরসনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সমপরিমাণ আবাসন ভাতা দিতে হবে। এছাড়া সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতকরণ, অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচনসহ সাত দফা নিয়ে বিভিন্ন সংস্কার  প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চবি শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ এবং প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক রুহুল আমিন, এইচ আর ডি সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক সাইদ বিন হাবিব, দাওয়াহ সম্পাদক হাবিব উল্যাহ, আইন সম্পাদক আফনান হাসান ইমরান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারেস মাতব্বরসহ অন্যান্য নেতারা।

Link copied!