নড়াইলে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে তৃণমূলে বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে ১০ জনকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে কাজ করায় ৯ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খানের স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
আগামী ২৮ নভেম্বর এ উপজেলার ১২টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বহিষ্কার করা ১০ জন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মাহামুদুল হাসান কায়েস, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মনিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মোল্যা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকাতুর রহমান, সদস্য আমিরুল ইসলাম মনি, আওয়ামী লীগ নেতা মেলজার হোসেন ভূইয়া ও হায়দার মোল্যা, হামিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী গোলাম মোহাম্মদ, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হক ও যুবলীগ নেতা তৌরুত হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খানের স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে ওই প্রার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করায় তাদের সরাসরি বহিষ্কার হয়েছেন।
বহিষ্কার হওয়া কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি জানি না। নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
চাচুড়ি থেকে বহিষ্কার হওয়ায় যুবলীগ নেতা তৌরুত হোসেন বলেন, দল ইউপিতে ভালো চেয়ারম্যান দেখতে চায়। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষ একজন যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচন করবে। দলের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেছে। এ ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আরো ৯ নেতাকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।