• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

উত্তাল সাগর, ঘাটে ফিরছে ট্রলার


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০২:১৯ পিএম
উত্তাল সাগর, ঘাটে ফিরছে ট্রলার

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলায় ৪ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এর ফলে সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। মহাবিপৎসংকেত পাওয়ার পর থেকে  গভীর সাগর থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। 

ট্রলার মালিক সমিতির দাবি, শনিবার সকালের মধ্যে ৪ হাজার ৩০০টি ট্রলার ঘাটে পৌঁছেছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে রোববার সন্ধ্যায়।

গত বুধবার বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেদের সতর্ক করে বিভিন্ন উপকূলে প্রচারণা শুরু করে মৎস্য বিভাগ।

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার আছে ৫ হাজার ১১৩টি। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩০০টি ট্রলার ঘাটে পৌঁছেছে। আরও চারশ ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি আছে। শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে সব ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মাছ ধরার ট্রলারগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৫৮১টিতে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএসএম ডিভাইস লাগানো আছে। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পড়ামাত্র মৎস্য বিভাগের জয়েন্ট মনিটরিং সেল থেকে ট্রলারগুলোয় বার্তা পাঠানো হয়। বার্তা পেয়ে ট্রলারগুলো গভীর সাগর থেকে উপকূলের দিকে ছুটে আসে। ওই পদ্ধতির মাধ্যমে ট্রলারের ভেতরে থাকা লোকজনের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রাখা যায়।

তবে শুক্রবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৮নং মহাবিপদ সংকেত জারি করা হলেও নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বেশির ভাগ ঘাটে এখনও ফিরে আসেনি অনেক মাছ ধরার ট্রলার। গভীর সমুদ্রে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ট্রলার মালিক ও মাঝি-মাল্লাদের স্বজনরা। মাছ ধরার ট্রলারগুলোতে জিপিএস ট্রেকার ও ওয়ারলের্স নেটওয়ার্ক থাকলে সেগুলোর অবস্থান নির্ণয় ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো।

Link copied!