গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার আট মাস পর ‘রহস্য উদঘাটন’ করেছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, স্ত্রী পরকীয়া করছে সন্দেহে প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি এমন কথা বলেছেন।
শনিবার (২৭ মে) সকালে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গীর পূর্ব থানার আরিচপুর এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. মাসুদ রানা (৩৭) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের মো. ফিরোজ সাকিদারের ছেলে। তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৩৪) মহাদেবপুর উপজেলার বামনসাতা গ্রামের আয় বাবুর মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. জামাল উদ্দিন জানান, সাত বছর আগে মাসুদ ও বুলবুলি পালিয়ে বিয়ে করেন। বুলবুলি মাসুদের প্রথম স্ত্রীর ভাইয়ের বউ। বিয়ের পর থেকে তারা কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ী কলেজ গেট এলাকার মিজানের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে থেকে বুলবুলি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আর মাসুদ রিকশা চালাতেন। বুলবুলি প্রায় মোবাইল ফোনে অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেন এমন অভিযোগ করেন মাসুদ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরে তাদের মধ্যে ফের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বুলবুলি মাসুদকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে মাসুদ তার স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
এসআই আরও বলেন, “২ সেপ্টেম্বর সকালে বুলবুলির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দরজায় বাইরে তালা দিয়ে চলে যায় মাসুদ। তবে বের হওয়ার সময় বুলবুলির বড় বোন আছিয়া আক্তারকে মোবাইল ফোনে বুলবুলির খারাপ কিছু হয়েছে জানিয়ে তাদের রুমে যেতে বলেন। আছিয়া রুমে গিয়ে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে মেঝেতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বুলবুলির মরদেহ দেখতে পায়।”
এ ঘটনার পরদিন বুলবুলির ছোট ভাই কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার মাসুদ রানা গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ সুপার মাকছুদের রহমান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :