• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামি মো. হারুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি মো. হারুনকে (৪২) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার গাবতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার মো. হারুন সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।

ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি পালিয়ে ঢাকা চলে গিয়েছিলেন। তাকে ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। তারপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “এই মামলার আসামি তিনজন। আমরা দুইজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছি। হারুন বাকি ছিল। আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বার ও মেহেরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেহেরাজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।"

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। ঘটনার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি যশোর সীমান্ত দিয়ে একবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তার গতিবিধি নজরে রাখে। এ নিয়ে এ মামলার তিন আসামি সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার এ মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ শুনানী শেষে আদেশের দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় গৃহবধূ তার তিন সন্তান নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান আসামিরা।

উল্লেখ্য, সুবর্ণচর উপজেলাটি ধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।

Link copied!