• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল অর্ধশত কিশোর-কিশোরী


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩, ১০:০৩ পিএম
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল অর্ধশত কিশোর-কিশোরী

দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছে ৫০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপহাইকমিশনার কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া, চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফেরত আসাদের মধ্যে ২৮ জন কিশোর ও ২২ জন কিশোরী। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।

ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপহাইকমিশনারের কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা কলকাতা থেকে ওই কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বেনাপোল চেকপোস্টে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায়, আবার কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে ভারতে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। এদের ২ থেকে ৪ বছর সাজা হয়। সাজাভোগের পর তারা দেশে ফিরে এসেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্তের অবৈধপথে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন শহর এলাকায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন বিচারক। সাজা শেষ হলে তাদের ছাড়িয়ে সে দেশের একটি বেসরকারি এনজিও নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। কিশোরীরা ছিল ভারতের কলকাতার লিলুয়া হোম, সুকন্যা ও সংলাপ শেল্টার হোমে। আর কিশোররা ছিল ধ্রাবাশ্রম ও কিশলয় শেল্টার হোমে। পরে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Link copied!