• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আয়ের উৎস লাল পিঁপড়ার ডিম


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ০২:১৩ পিএম
আয়ের উৎস লাল পিঁপড়ার ডিম
লাল পিঁপড়ার ডিম হয়ে উঠছে স্থানীয়দের নতুন আয়ের উৎস

খাগড়াছড়িতে লাল পিঁপড়ার ডিম হয়ে উঠছে স্থানীয়দের নতুন আয়ের উৎস। জেলার মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা ও পানছড়িতে পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে দুই শতাধিক পরিবার।

জানা গেছে, বৈশাখ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বন জঙ্গল ও বিভিন্ন বাগান ঘুরে পিঁপড়ার বাসা থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা সংগ্রহ শেষে জাল ও কাপড় ব্যবহার করে ডিম থেকে আলাদা করা হয় পিঁপড়া। তারপর কেজি দরে বিক্রি করা হয় পাইকারদের কাছে। প্রতি কেজি পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে শিকারিরা পান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। মৌসুমে প্রতিদিন একেকজন শিকারি দেড় থেকে দুই কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন।

লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করছেন এক শিকারি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার রামশিরা এলাকার জসিম উদ্দিন বছর কয়েক আগেও মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি লাল পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। লোকালয় কিংবা বনজঙ্গলে ঘুরে বিভিন্ন গাছের ডাল ও পাতায় বাসা বাঁধা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করা এখন তার পেশা। প্রতিদিন যা সংগ্রহ করেন তা বিকেলে বিক্রি করেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে।

স্থানীয় পাইকার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. জাকির হোসেন জানান, লাল পিঁপড়ার ডিম শৌখিন লোকরা বড়শি দিয়ে মাছ শিকার ও বিভিন্ন খামারে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করেন। স্থানীয় পাইকাররা ডিম সংগ্রহ করার পর রাতের মধ্যে তা পৌঁছে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম, ঢাকা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

Link copied!