• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

‘চুরি করার ক্ষমতা আছে, তাই চুরি করেছি’


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৯:৫০ এএম
‘চুরি করার ক্ষমতা আছে, তাই চুরি করেছি’

নাটোরে গুরুদাসপুর উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ট্যাব বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় এক সচেতন ব্যক্তি প্রতিবাদ করলে নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ক্ষুব্ধ বলেছেন, “আমাদের চুরি করার ক্ষমতা আছে তাই চুরি করেছি, তাতে আপনার কি? আমরা ট্যাব নিয়ে এসেছি, আমাদের ছেলেমেয়েদের তা দিয়েছি, আপনি এখানে ঝামেলা করার কে?”

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের নাম মো. আকরামুল ইসলাম। তিনি উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকের (বাণিজ্য বিভাগ) দায়িত্বে আছেন। প্রতিবাদকারী ব্যক্তি মকুল হোসেনের বাড়ি একই এলাকার নাজিরপুর নতুন পাড়া এলাকায়।

মো. মকুল হোসেন জানান, “বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপজেলাব্যাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেউ ট্যাব পায়নি। ট্যাব পেয়েছে প্রধান শিক্ষকের ভাতিজি ও ভাগ্নি, সহকারী শিক্ষক মো. সুলতান হোসেনের মেয়ে, সহকারী শিক্ষক মো. আকরাম হোসেনের ছেলে, সহকারী শিক্ষক সাইদুল ইসলামের মেয়ে, বিদায়ী একজন শিক্ষার্থীসহ আরও এক সহকারী শিক্ষকের ছেলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ছেলে-মেয়ে হওয়ার সুবাদে তারা ট্যাব পেয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক আকরামুল ইসলাম আমার ওপর উত্তেজিত হয়ে পড়েন।”

মো. মকুল হোসেন আরও বলেন, “একপর্যায় সহকারী শিক্ষক আকরামুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা আছে তাই আমরা চুরি করেছি, আমাদের ছেলেমেয়েদের দিয়েছি। তাতে আপনার সমস্যা কী?’ এ ছাড়াও তিনি আমার ওপর বার বার আক্রমণ করার চেষ্টা করেন।”

সহকারী শিক্ষক আকরামুল ইসলাম বলেন, “উত্তেজিত হয়ে ভুলবশত বলে ফেলছি। তাছাড়াও মকুল হোসেনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকার কারণে কথার প্রসঙ্গে কথাটি বের হয়ে গেছে। এটা আমার ভুল হয়েছে।”

প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ মণ্ডল বলেন, “একটু ভুল ভ্রান্তির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। ট্যাব যাদের দেওয়া হয়েছিলো তাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের বিষয়ে আমার জানা নেই।”

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার বলেন, “ইতিমধ্যেই ওই বিদ্যালয়ের অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহকারী শিক্ষক যে কথা বলেছে সেটা তিনি বলতে পারেন না। অভিভাবক অভিযোগ দিলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি “

Link copied!