গাজীপুরের শ্রীপুরে মাটির চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার এক নারী পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরপরই স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সেখানে ভর্তি করেছিলেন।
নিহত বৃষ্টি আক্তার (২৬) শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় কালার ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকের কাজ করতেন।
বৃষ্টির শাশুড়ি আমেনা খাতুন বলেন, “রোববার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি রান্নাঘরে লাকড়ির চুলায় রান্না করতে যায়। অসাবধানতায় কোনো এক সময় চুলার আগুন গায়ের ওড়নায় লেগে যায়। হঠাৎ করে তার চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, সে উঠানে দৌড়াদৌড়ি করছে। তার গায়ে আগুন জ্বলছে। এরপর আমি ও আমার আরেক পুত্রবধূ শাহনাজ পানি ঢেলে তার শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
নিহতের শ্বশুর আজিজুল হক জানান, পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃষ্টির শরীরের ৬৩ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
বৃষ্টির ভাই রিপন মিয়া বলেন, “অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে যাই। সেখানে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে, রান্না করতে গিয়েই তার শরীরে আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এরপর আমি শ্রীপুর থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।”
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে জানতে পারি, চুলার আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :