• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টা, হাসপাতালের পরিচালক গ্রেপ্তার


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ১১:৪১ এএম
নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টা, হাসপাতালের পরিচালক গ্রেপ্তার

নাটোরের লালপুরে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে নারী চিকিৎসককে হেনস্তা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একাব্বর হোসেন শান্ত (৩৭) নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ডিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একাব্বর হোসেন উপজেলার জোতদৈবকী গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে।

এর আগে ৯ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক হেনস্তা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একাব্বর হোসেন, তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) ও বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী কল্পনা বেগমের (২৮) বিরুদ্ধে লালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এটিকেই পরে মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালপুরের মানবকল্যাণ মডেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা জোনের ডিবি পুলিশের পরিচয়ে এক ব্যক্তি ও ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের পরিচালক একাব্বর হোসেন শান্ত তল্লাশির নামে তার ভ্যানিটি ব্যাগে হেরোইনজাতীয় বস্তু দেন। এরপর মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

টাকা দিতে রাজি না হলে একাব্বর তাকে রাতভর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। বিষয়টি অন্যদের জানানোর চেষ্টা করলে ঘটনার সব সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ সরিয়ে নেন একাব্বর। এ ঘটনায় রহিমা বেগম ও স্টাফ কল্পনা বেগম সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী ওই নারী চিকিৎসক জানান, একাব্বরের উপস্থিতিতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি জোর করে তার ব্যাগ তল্লাশি করেন। তাতে কিছু না পেয়ে পকেট থেকে পাউডারজাতীয় দুটি প্যাকেট বের করে মাদক মামলার ভয় দেখান। তখন শান্ত বিষয়টি দেখবেন বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে আটকে রাখেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ওই নারী চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ডিবি ও থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে নাটোর থেকে একাব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Link copied!