গোপালগঞ্জে বিষপান আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন পলি বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। নিজে পানের পর তিন শিশুকন্যাকেও বিষ খাইয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, বছর দশেক আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার লংকারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্যার ছেলে টিটু মোল্যার সঙ্গে একই উপজেলার খাগড়াবাড়ি গ্রামের শরিফুল শেখের মেয়ে পলি বেগমের বিয়ে হয়। শাশুড়ি সেকেলা বেগম পলিকে তার বাবার একাধিক বিয়ে করা নিয়ে খোঁটা দিয়ে আসছেন। আজ সকালে পলি শাশুড়ির উঠানে জ্বালানি (গাছের পাতা) শুকাতে দেন। এ নিয়ে শাশুড়ি গালমন্দ করেন, বাবার বিয়ের বিষয় নিয়ে আবার বাজে মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে দুপুরে আগাছানাশক পান করেন পলি। পরে চামচে করে একে একে ৮ বছরের মেয়ে আফসানা, আড়াই বছরের আমেনা ও দেড় বছরের মিমকেও পান করান। পরিবারের টের পেয়ে তাদের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক অনামিকা জাহান জানান, আগাছানাশক খেয়ে কাশিয়ানী থেকে এক মা ও ৩ মেয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে মা ও বড় মেয়ে শঙ্কামুক্ত হলেও খানিকটা ঝুঁকিতে আছে ছোট দুই মেয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :