• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আলফাডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ১২:৪০ পিএম
আলফাডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর (এফএমডি) ক্ষুরা রোগ। সম্প্রতি উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরু মারা গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও শতাধিক গরু। ভ্যাকসিন ও ওষুধ দিয়েও রোগ নিরাময় হচ্ছে না। ফলে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের গরুর খামার মালিক ও কৃষকেরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে খামার মালিক ও কৃষকদের ৩৫ হাজার গরু রয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলার বানা ইউনিয়নের গরানিয়া গ্রামে এক মাস আগে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সম্প্রতি ওই গ্রামে সাদিক ডেইরি ফার্মে তিনটি গরু, সুলতান শেখের ৩টি,  আজাদ শেখের ৪টি ও কামাল মোল্যার ৩টি গরুসহ ওই অঞ্চলে অনেক গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে।

সাদিক ডেইরি ফার্মের মালিক দুলাল বলেন, “আমার খামারে ৭-৮ মাসের তিনটি গরুর বাছুর ক্ষুরা রোগে মারা গেছে; যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ছয় লাখ টাকা। বাকি গরু নিয়ে বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গরুকে ভ্যাকসিনসহ ওষুধ দিয়েছি কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। চোখের সামনে তিনটি গরুর বাছুর হারিয়েছি। অবশিষ্ট গরু বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি।”

একই গ্রামের প্রবাসী কামাল মোল্যার স্ত্রী দিদারা জামান পিয়া জানান, তাদের পালন করা ১০টি গরুর মধ্যে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মারা যাওয়ার এক মাস আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে লোক এসে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন দিয়ে যান।

উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের একাধিক খামারি ও কৃষকের বেশ কিছু গরু মারা গেছে ক্ষুরা (এফএমডি) রোগে। বুড়াইচ ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের খামারি শরিফুল ইসলাম পলাশ জানান, তার দুইটি গরুসহ শৈলমারী গ্রামে একাধিক ব্যক্তির গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও আক্রান্ত রোধ করা যাচ্ছে না। সরকারি ভ্যাকসিনের জন্য অফিসে গেলে বলা হচ্ছে কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খামারিদের কিছু গরু মারা যাচ্ছে সঠিক চিকিৎসার অভাবে। অনেক খামারি গরু যখন মৃত্যুর মুখোমুখি হয় তখনই প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবেন বাইন প্রশিক্ষণে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ভেটেরিনারি সার্জন ডা.শওকত আলী জানান, এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং উঠান বৈঠক ও মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

Link copied!