• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনায় ইলিশের আকাল, পাঙাশ বিক্রির হিড়িক


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৩:৫২ পিএম
বরগুনায় ইলিশের আকাল, পাঙাশ বিক্রির হিড়িক

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে মাছ ধরায় ব্যস্ত উপকূলীয় জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম দুই দিন বরগুনার স্থানীয় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মিললেও হঠাৎ করে তা কমে এসেছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে কয়েকটি ইলিশ মাছ নিয়ে বসে আছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে পুরো বাজারই পাঙাশে সয়লাব। দামেও অনেক চড়া।

জানা যায়, নিষেধাজ্ঞায় নদী ও সাগরে বেড়েছে পাঙাশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন। প্রথম দুই দিন স্থানীয় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও এখন বেশি ধরা পড়ছে পাঙাশ। সমুদ্রেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।

বিক্রেতারা জানান, পায়রা, বলেশ্বর ও বিলখালী নদীতে পাঙাশে সয়লাব। বরগুনার স্থানীয় ছোট বাজারগুলোতে বড় সাইজের পাঙাশ তুলনামূলক অনেক বেশি মাছ দেখা যায়। তবে কেজি ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বরগুনা পৌর মাছ বাজার এবং ছোট বাজারে এখন ইলিশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঙাশ কেনাবেচার হিড়িক চলছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. লিটন খান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ইলিশ কম থাকায় পাঙাশের বিক্রি বেড়েছে। দামও মিলছে ভালো। স্থানীয় নদীর পাঙাশের চাহিদা সব সময়ই বেশি থাকে। ভালো জিনিস খেতে হলে দাম তো একটু বেশি দিতেই হবে।

খুচরা বিক্রেতা কামাল বলেন, পাঙাশের স্বাদ অন্যান্য মাছের থেকে ভালো। কোনো গন্ধ নেই, তেল অনেক।

ক্রেতা নিজাম উদ্দিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে এসেছিলাম ইলিশ মাছ কিনতে। না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাঙাশ কিনেছি। কিন্তু আকারে বড় হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ৭৫০ টাকা কেজি দরে পাঙাশ বিক্রি করছেন।”

আড়তদার খলিল মিয়া বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা। তবে জেলেরা জানিয়েছেন তাদের জালে বড় সাইজের পাঙাশ ধরা পড়লেওেইলিশ ধরা পড়ছে কম।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ইলিশ কমেনি। মূলত আগের থেকে পাঙাশ বেড়েছে। কয়েক বছর ধরে পাঙাশের পোনা নিধন বন্ধের জোর তৎপরতার সুফল এটি। পাঙাশ ও ইলিশের বংশবিস্তারের সময় প্রায় একই। এভাবে পোনা নিধনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও পাঙাশ পাওয়া যাবে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!