• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০, ২৫ রমজান ১৪৪৬

বন কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১, ০৮:৪১ পিএম
বন কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা সুন্দরবন রেঞ্জের কলাগাছিয়া এলাকায় বন কর্মকর্তাদের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলে বাওয়ালিদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলে বাওয়ালিদের পক্ষে শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি গ্রামের নজু গাজীর ছেলে ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম।

শহীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমরা বনবিভাগ থেকে পাশ নিয়ে বৈধভাবে সুন্দরবনের মাছ, কাকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমার বোনা জামাই শহীদুল ইসলাম সুন্দরবন থেকে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে কলাগাছিয়া বনফাঁড়ির ওসি মনিরুল ইসলাম কোনো কারণ ছাড়াই তাকে আটক করেন। পরে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চের এসিএফ এমএ হাসানের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার কারণ জানতে চাওয়ায় ওসি মনিরুল ও এসিএফ এমএ হাসান আমিসহ জেলে বাওয়ালিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জেলে বাওয়ালিদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাদের পাশ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন।”

সুন্দরবনে মাছ, কাকড়া ধরা আমাদের পৈত্রিক পেশা উল্লেখ করে শহীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন আরও বলেন, দীর্ঘকাল ধরে আমরা নদীতে মাছ, কাকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। ইতিপূর্বে আমরা বন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাশ নিয়ে মাছ, কাকড়া ধরতাম। কিন্তু বর্তমানে পাশ নেওয়ার পরও টাকা না দিলে কলাগাছিয়া এলাকা পার হতে দেন না ওসি মনিরুল। বুড়িগোয়ালিনী-গাবুরা এলাকার প্রায় হাজারো জেলে বাওয়ালিরা বর্তমানে কলাগাছিয়ার ওসি ও সাতক্ষীরা রেঞ্চের এসিএফের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। অনেকেই সুন্দরবন না গিয়ে বেকার সময় কাটাচ্ছেন। এতে করে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা না হলে প্রায় দেড় হাজার জেলে বাওয়ালিরা কর্মহীন হয়ে পড়বেন।”

এ ব্যাপারে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চের এসিএফ এম এ হাসান জানান, তিনিসহ কলাগাছিয়া বনফাঁড়ির ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে তা আদৌ সত্য নয়। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

Link copied!