• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ভেতরে টাইগারদের লড়াই, বাইরে কী অবস্থা?


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৮:০০ পিএম
ভেতরে টাইগারদের লড়াই, বাইরে কী অবস্থা?

তখন সন্ধ্যে নামার আগে। স্টেডিয়াম লাগোয়া ফুটপাতের দৃশ্য। এক দম্পতিকে দেখা গেল গ্যালারির টিকিট হাতে। প্রশ্ন ছিল, খেলা তো শুরু ১২টায়। এত দেরিতে কেন? উত্তরে বাসন্তি শাড়ি পরা তাপসী রহমান তার বরকে দেখিয়ে বলেন, “ওর অফিস গাজীপুর। আগে বের হতে পারেনি। আমার খালার বাসা মিরপুর। আমি সকাল থেকে সেই বাসায় টিভিতে খেলা দেখেছি।”

টিভির দেখা আর মাঠের দেখা! বহু ফারাক। তবে হাতে হাতে ফোনে ফোনে সবার “ক্রিক ইনফো”, “ক্রিকবাজ” খোলা। অনেকের ফোনে লাইভ স্ট্রিমিং। কিন্তু গ্যালারির দর্শক হুল্লোড় হার মানে সব কিছুর কাছে। সময় তো বটেই। তাই ভেতরের উল্লাসের শব্দে বুঝে নিতে হয় মঈন আলি ক্রিজে নাকি আউট।

টিম টাইগার খেললেই বদলে যায় মিরপুর ২–এর চিরচেনা দৃশ্য। কোন রাস্তা বন্ধ। কোন দিকে ডাইভারশন। হকারদের বহু কিছু নিয়ে হাকডাক। ৩ নং গেট সংলগ্ন চায়ের দোকানি মামা জানালেন, “খেলা হইলে হাজার দুই বেশি বিক্রি হয়।”

বাস, গাড়িগুলো ঘুরে যেতে হয় মিরপুর ৬–এর দিক দিয়ে। যাত্রীদের ভোগান্তি হয় নিশ্চয়। কিন্তু কেউ তা বলেন না। মাঠে যখন সাকিবরা, তখন তো প্রার্থনা থাকে প্রায় ১৬ কোটির জনপদের সবার।

অনেকে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রি করছেন রাস্তায়। এর দামও আবার স্কোর কার্ডের সাথে ওঠে নামে। টিম হারার দশায় থাকলে ২০০ টাকার গ্যালারির টিকিট নেমে আসে দেড়শতে।

ন্যাশনাল বাংলা স্কুলের পেছনটায় গাড়ি, বাইক পার্কিং বাণিজ্য জমজমাট। সপরিবারে নোয়া গাড়ি থেকে নেমে ৬০ টাকা দিলেন চালকের আসনের ভদ্রলোক।

নিরাপত্তা বেষ্টনির ভেতর শিশুরা খেলছে। পূর্ণিমা হোটেল থেকে কাবাবের উড়ুক্কু ঘ্রাণ। সামনের লাভ রোডে যুগলরা দই-ফুচকায়। মন্দিরে শাঁখের ধ্বনি।

টিভির খেলার রিপ্লে হয়। পরের দিন হাইলাইটসও দেখা যায়। কিন্তু টিম টাইগারের কারণে বদলে যাওয়া তুরাগ পাড়ের মিরপুরের এসব দৃশ্য চলতি। মাঠের খেলার চেয়ে ভিন্নতর আবহ সব দিকে। এর কতটুকু আর নিউরনে থাকে?

হঠাৎ চিৎকারে নিশ্চিত হওয়া গেল মঈন আলি আউট। আজ মিরপুর ১০-এ মেট্রোরেল স্টেশন চালু হয়েছে। এর চেয়ে বড় ফাল্গুনি উপহার হতে পারে বাংলাদেশের জয়। তা হবে কি? এবার না হলেও পরে হবে। আমরা তো হারি জিতি বাংলাদেশ। ক্রিকেট আসর বসলেই যে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে।

Link copied!