মাস খানেক আগেই অফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে শেষ হতে না হতেই আচমকা ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল খান। তার এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পরে ক্রিকেট ভক্তরা। সবার ইচ্ছা ছিলো ফিরে আসুক তামিম, খেলুক বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ। তাকে ফেরানোর বোর্ডের যখন সকল চেষ্টা বিফলে যায় তখনি মাশরাফিকে দিয়ে তামিম ইকবালকে তলব পাঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার নির্দেশেই অবসর ভাঙেন তামিম। সে সময় তিনি বলেন আমি সবাইকে মানা করতে পারলেও প্রধানমন্ত্রীকে তো মানা করতে পারি না।
এরপর তামিম দেড় মাসের ছুটি চান বিসিবির কাছে। ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে চলে যান দুবাইয়ে। সেখান থেকেই লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে গত সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু চোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় তাঁর। এ কারণেই এবার নিয়েছেন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
সিদ্ধান্তটা অবশ্য একা নেননি তামিম। ছাড়ার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে লম্বা আলোচনা করেছেন। এমনকি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তামিম ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ” দলের কথা চিন্তা করে আমার সরে যাওয়াটাই হবে সবচেয়ে ভালো। আমরা একসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার ম্যাসেজটা উনাকে দিয়েছি। উনিও বুঝেছেন এবং যা বলার আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন। তবে মূল ব্যাপার হলো এটি যে, আমার কাছে মনে হয়েছে, দলের ভালোর জন্য আমার অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত এবং মনোযোগ দেওয়া উচিত শুধু খেলোয়াড় হিসেবে ও যখনই সুযোগ আসবে, চেষ্টা করা উচিত নিজের সেরাটা দেওয়ার।"