হাম্বোনটোটায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ছয় উইকেটে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। সফরকারী আফগানদের ১৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল সানাকা বাহিনী। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ দাঁড়াল ১-১ এ। আগামী ম্যাচে উভয় দল সিরিজ জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামবে।
রোববার (৪জুন) মহিন্দ্রা রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন সানাকা। উদ্বোধনী দুই ব্যাট্যার দারুণভাবে সূচনা করেন। দলীয় ৮২ রানের মাথায় নিসাঙ্কা ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আউট হন। তবে ক্রিজের আরেক ওপেনার করুণারত্নে ও কুসাল মেন্ডিস বড় জুটি গড়ে তোলেন। আগের ম্যাচে সুবিধা করতে না পারা করুণারত্নে ৫২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তবে কুশাল মেন্ডিস আউট হওয়ার আগে সাতটি চার আর একটি ছয়ের সাহায্যে ৭৮ রান তোলেন। এরপর মুজিবের বলে আউট হওয়া সামারাবিক্রমা ৪৪ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক সানাকা ১৩ বলে ২৩ রান করে দলের রানের চাকা সচল রাখেন। শেষে হাসারাঙ্গার ১২ বলের ২৩ রানের মারমুখি ইনিংস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ২৯ রান লঙ্কানদের ৩২৩ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দেয়। আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নাবী ও ফরিদ আহমেদ।
৩২৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারী দলের ব্যাটাররা। রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটি প্রাথমিকভাবে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৬ রানে সানাকার শিকারে পরিণত হন রহমত। তবে ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদীর সঙ্গে জুটি গড়েন। দলীয় ১৪৬ রানে এই জুটি ভাঙেন পেসার চামিরা। ৫৪ রানে ইনিংস শেষ হয় জাদরানের। অধিনায়ক শাহিদী ৫৭ রান করে বিদায়ের আগে ম্যাচে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। শেষ দিকে আজমতউল্লাহর ২৮ রান শুধু হারের ব্যবধানই কমায়। ৪২ ওভার ১ বলে খেলে ১৯১ রান করে আফগান ব্যাটাররা। এতেই ১৩২ রানের জয় পায় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন হাসারাঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
আগামী ৭ জুন একই ভেন্যুতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নামবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।