নোয়াখালীতে ‘লাল সবুজ’ পরিবহনে মো. তরিকুর ইসলাম (৩১) নামে এক যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে আমাসিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ২টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভার বিজয়নগর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩) ও একই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাবীব উল্যাহ দরবেশ বাড়ির মো. মকবুল আহমদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম হৃদয় (২৬)।
আর হামলার শিকার তারিকুল ইসলাম (৩১) ময়মনসিংহ জেলার টাংগাব ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা থেকে নোয়াখালীর মাইজদীর উদ্দেশে লাল সবুজ পরিবহনের একটি বাস রওনা দেয়। বাসটি যাত্রা পথে সোনাইমুড়ীর বাইপাস এলাকার লাল সবুজ বাস কাউন্টারের সামনে পৌঁছালে আরিফ, হৃদয়সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বাসটি থামায়। একপর্যায়ে মুখে মাস্ক পরে তারা বাসে উঠে যাত্রী তারিকুল ইসলামকে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। ওই সময় তারিকুলের সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে এমন একটি ভিটিও সামাজিক যোযোযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেন্স) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, সোনাইমুড়ীতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কিং মোজাম্মেলের সঙ্গে সবুজ নামে তার এক অনুসারী ছিলেন। তার হাতে অনেক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী হয়রানির শিকার হয়। তার চেহারের সঙ্গে বাসযাত্রী তরিকুলের চেহারার মিল থাকায় আরিফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে সবুজ মনে করে বাস থামিয়ে মারধর করেন।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সময় আসামির পায়ে পরিহিত চকলেট কালারের লোফার সু, হাতে থাকা হেলমেট জব্দ করা হয়। অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।