প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে কতকিছুই না করে পাগলাটে ভক্তরা। পায়ে হেঁটে ৫৫ দিনে ১৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কাতারে এসেছেন এক সৌদি ভক্ত। অবশ্য প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে নয়, আরব বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তার এই উদ্যোগ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব লড়াইয়ের আগে কাতারে পৌঁছান এই ভক্ত। ওই ম্যাচের আগেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে নিজের উদ্দেশ্যর কথাও বলেন।
মূলত শখের বসেই হাইকিং করেন আব্দুল্লাহ আল সালমি। সেই অভ্যাস থেকেই হেঁটে সৌদি আরব থেকে কাতারে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে মূল কারণ ছিল প্রিয় দলকে সমর্থন দেওয়া। পাশাপাশি আরব দেশগুলোতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনও ছড়িয়ে দিতে চান।
এই বিষয়ে সালমি বলেন, “আমি সব সময় বিশ্বকাপে উপস্থিত থাকতে চেয়েছি। যেখানে প্রথমবারের মতো আরব দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে। ভাতৃত্ব প্রদর্শনে আমি আরব উপদ্বীপ হেঁটে আয়োজনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। পাশাপাশি দুটি প্রতিবেশী দেশের মাঝে ঐক্যকেও তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।”
এইভাবে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ উপভোগ করে নিজের ভালোবাসা ও আবেগকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানান। সালমি আরও যোগ করেন, “হাইকিং আমাকে স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়। আমি চেয়েছিলাম এই আবেগ এবং ভালোবাসা লাখো সমর্থকদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে, যারা এই অঞ্চলে বিশ্বকাপের আয়োজন দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন।”
তার এই গল্প সৌদি আরবের ফুটবলারদের কানে গিয়েছে কি-না তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে রূপকথার গল্প লিখে জয় তুলে নিয়েছে। ম্যাচের আগে সালমি অবশ্য এই রকমই কোনো অবিশ্বাস্য কিছুর আশায় ছিলাম। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতাই জরুরি বলে জানান।
“আমি আশা করি, আমাদের দল আমার এভাবে হেঁটে আসা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনেছে এবং টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমি সবাইকে দেখাতে চেয়েছিলাম কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কঠিন পরিশ্রম এবং একাগ্রতায় যেকোনো কিছু করা সম্ভব।”- বলেন সালমি।