• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিলারের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের সম্মানজনক স্কোর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
মিলারের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের সম্মানজনক স্কোর
ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা অজিদের বিপক্ষে ২১৩ রানের যে লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে তার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ডেভিড মিলারের। তার সেঞ্চুরিতে ৪৯.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে তারা। মিলার আউট হন ১০১ রানে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে, তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রমাণ করতে বেশি সময় নেই নি অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। ব্যাটিংয় পাওয়ারপ্লেতে তারা মোটে তোলে ১৮ রান। হারিয়ে বসে দুই ওপেনারকে। দলীয় ১ রানের সময় নিজের নামের পাশে কোন রান যোগ না করেই ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। আর দারুণ ছন্দে থাকা কুইন্টন ডি কক ফেরেন ৩ রান করে জশ হ্যাজেলউডের বলে। দলীয় রান তখন ৮ রান। 

ওপেনারদের কাছ থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু পাওয়ার পর হাল ধরতে পারেননি এইডেন মারক্রাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন। ইনিংসের ১১তম ওভারে স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি মারক্রামের ব্যাটের কানায় লেগে সোজা আশ্রয় নেয় পয়েন্টে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে। ২০ বল খেলে দুই চারে মাত্র ১০ রান করেন প্রোটিয়া সহ-অধিনায়ক। পরের ওভারেই হ্যাজেলউডের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন ডুসেন। ৩১ বলে ৬ রান করেন তিনি।
মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টির আঘাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। কাভার সরানোর পর লড়াই চালিয়ে যান ক্লাসেন-মিলার।

থিতু হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ক্লাসেন। কিন্তু ট্রাভিস হেডের জোড়া আঘাতে আবারও ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ৪৭ রান করা ক্লাসেনকে বোল্ড করে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন হেড। পরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মার্কো ইয়ানসেনকে।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েৎজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোয়েৎজে। ৩৯ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি।

এক পাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিলার। ১১৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১৬ বলে ১০১ রান করে ফিরেছেন তিনি।শেষদিকে কেশব মহারাজ-কাগিসো রাবাদারা দ্রুত ফিরলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

Link copied!