ব্রাজিলের মারিও জাগালো মারা যাবার মাত্র দুই দিন পর স্বর্গের পথে পা বাড়ালেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারও। জাগালোর সঙ্গে দীর্ঘদিন একই নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হত তার নামটাও। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে এই দুজনেই ছিলেন খেলোয়াড় এবং কোচ। উভয় ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জেতা দুইমাত্র মানুষ।
জার্মানির হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়, ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানিকে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কোচ বেকেনবাওয়ার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেল নিশ্চিত করেছে কাইজারের মহাপ্রয়াণ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
ডয়েচে ভেল বেকেনবাওয়ারের পরিবারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, “ গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের বাবা রোববার চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েছে। মৃত্যুর সময় সে তার পরিবারকে পাশে পেয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আপনারা নীরবে শোক প্রকাশ করবেন এবং আমাদের নীরবতাকে শ্রদ্ধা করে কোনো প্রশ্ন করা হতে বিরত থাকবেন”—এই বার্তাই জানান হয়েছে ফুটবল কিংবদন্তীর পরিবারের পক্ষ থেকে।
জার্মানির স্থানীয় সময় রবিবারে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পরিবার। বেকেনবাওয়ারের ১৯৯০`র জার্মান দলের অধিনায়ক ও বন্ধু, লোথার ম্যাথাউস জার্মান গণমাধ্যম `বিল্ড`কে জানান, ` এই শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন। আমি জানতাম যে ফ্রাঞ্জের শরীরটা ভাল যাচ্ছে না, তবে তার এই বিদায় একেবারেই অপ্রত্যাশিত`।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবে মনে করা হয় সদ্য প্রয়াত বেকেনবাওয়ারকে। ফুটবলে রক্ষণে `মডার্ন সুইপার` এর ভূমিকার পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয় বেকেনবাওয়ারকে।
যে মাত্র ৯ জন ফুটবলার বিশ্বকাপ, ইউরো এবং ব্যালন ডি`অর জিতেছেন, বেকেনবাওয়ার ছিলেন তাদেরই একজন। তার নেতৃত্বেই টানা তিন মৌসুম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ (তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপ) জিতেছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
২০১৬ এবং ২০১৭ সালে দুইবার হৃৎপিন্ডে অস্ত্রপচার হয় বেকেনবাওয়ারের। পরের বছর আরো একটি সার্জারি করাতে হয় তাকে।
আপনার মতামত লিখুন :