শিরোপার দৌড় থেমে গেছে সেমিফাইনালেই। কিন্তু জয়ের ক্ষুধা কমেনি ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কোর। তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচও দুই দলের লড়াইয়ে জমে উঠেছিল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ উপভোগ্য ম্যাচ খেললো দুই দল।
ম্যাচের শুরুর দিকেই এগিয়ে গেলো ক্রোয়েশিয়া। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে সেই গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরলো মরক্কো। বিরতির আগ মুহূর্তে আবারও এগিয়ে গেলো ক্রোয়েশিয়া। এবার আর বাকি সময়ে একাধিক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি মরক্কো। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে মরক্কোকে হারিয়র চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচের ফ্রি-কিকে ইভান পেরিসিচের বাড়ানো হেডে আবার হেড দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োস্কো গাভারদিওল।
গোল হজম করে শোধ করতে মোটেও সময় নেয়নি মরক্কো। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে হাকিম জিয়াশের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার হেডে উল্টো বল পাঠিয়ে দেন গোলমুখে। ওই বলেই দুর্দান্ত হেডে মরক্কোকে সমতায় ফেরান আশরাফ দারি।
এরপর টানা ১৫ মিনিট ক্রোয়েশিয়ার উপর দাপট দেখিয়েছে মরক্কো। কিন্তু বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
কিছুটা স্রোতের বিপরীতে বিরতিতে যাওয়ার আগে গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। মরক্কোর ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে না পারলে সেই বল ফাঁকায় পান অরসিচ। এরপর নিখুঁত শটে ক্রোয়েশিয়াকে লিড এনে দেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে প্রথমদিকে আধিপাত্য দেখিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু খুব বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
৭৪ ও ৭৫ মিনিটে পেনাল্টির জন্য জোড়ালো আবেদন করেছিলেন মরক্কোর ফুটবলাররা। কিন্তু তাদের কোনো আবেদনেই সাড়া দেননি রেফারি। এর মধ্যেওই ক্রোয়াট গোলপোস্টে দারুণ শট নিয়েছিলেন মরক্কোর এন-নেসারি। কিন্তু তার শট প্রতিহত করেন ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ের একদম শেষের দিকে দারুণ এক হেড দিয়েছিলেন মরক্কোর নেসিরি। কিন্তু তার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হোলে হতাশায় যেন মুষড়ে পড়েন। বাকি সময়ে আর গোল না হোলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :