বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই দুঃসংবাদ পৌছে গিয়েছিল ন্যু ক্যাম্পে। ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বার্সার বিদায় নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান।
মাঠে নেমে সেই শোক আরও ঘনিভূত হলো! চ্যাম্পিয়নস লিগে দীর্ঘদিনের বায়ার্ন ভূত এবারও ছাড়াতে পারলো না বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এবার জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে বার্সার টানা ষষ্ট হার এসেছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের বয়স ১০ মিনিট হওয়ার আগেই প্রথম গোল হজম করে বার্সা।
৯ম মিনিটে সতীর্থ সার্জিও জিনাব্রির লম্বা কোনাকুনি পাস থেকে নিখুঁত দক্ষতায় বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগানকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বায়ার্নের সেনেগাল স্ট্রাইকার সাদিও মানে।
গোল হজম করে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিল বার্সা। তবে বায়ার্নের শক্ত রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।
নিজেরা একের পর এক আক্রমণ করে কিছুই করতে পারছিল না! এরপর উল্টো আরও এক গোল হজম করে বসে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে আবারও সার্জিও জিনাব্রির অ্যাসিস্ট তবে এবার গোলদাতা চুপো মোটিং।
৩৪তম মিনিটে ডান পাশ থেকে একক দক্ষতায় বল নিয়ে এগিয়ে গেলেও ঠিকঠাক ক্রস দিতে পারেননি দেম্বেলে। ফলে আরও একটি সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় বার্সার।
৪৩তম মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ মিস করে বায়ার্ন। প্রায় গোল লাইন সেইভ করে বার্সাকে তৃতীয় গোল হজম করার হাত থেকে বাঁচান জুলস কুন্দে।
এর পরের মিনিটেই লেভানডোভস্কিকে ফাউল করার জন্য পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে পরে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি।
প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণ করলেও ফিনিশং ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণ চালিয়ে গেছে দেম্বেলে-লেভানডোভস্কিরা। তবে বারবার বায়ার্নের রক্ষণে যেয়ে খেই হারিয়েছে তাদের সব আক্রমণ।
বার্সার আক্রমণের ভীড়ে স্রোতের বিপরীতে গোল পায় বায়ার্ন। তবে অফসাইড হওয়ায় সে গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
৫৮তম মিনিটে গোলের আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করে বার্সা। বায়ার্নের বক্সে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও শট নিতে পারেননি লেভানডোভস্কি।
বদলি হিসেবে নামা বার্সা ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি ৭০তম মিনিটে বেশ ভালো একটি সুযোগ তৈরি করলেও তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কাজের কাজ হয়নি।
শেষদিকে আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছে বার্সেলোনা। কিন্তু একবারের জন্যও বায়ার্নের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি তারা। প্রতিবারই তাদের সমস্ত আক্রমণ বায়ার্নের বক্সের সামনে খেই হারিয়েছে। উল্টো ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে গোল করে বার্সার কফিনে শেষ পেরেক মারেন বেঞ্জামিন পাভার্ড।
এরপর আর আক্রমণের সুযোগই পায়নি বার্সেলোনা। ফলে শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের বিপক্ষে আরও একটি হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা।
আপনার মতামত লিখুন :