• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

এক ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনার ১৭ দিনের সমুদ্র যাত্রা!


পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ১১:৪০ পিএম
এক ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনার ১৭ দিনের সমুদ্র যাত্রা!

১৯৩৪ সালে ইতালিতে বসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় আসর। এই আসরে ইতালিয়ান স্বৈরশাসক মুসোলিনির রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি মোটামুটি সবারই জানা। ইউরোপে অনুষ্ঠিত প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছিল আর্জেন্টিনা। ১৭ দিনের সমুদ্র যাত্রা শেষে ইতালিতে পৌঁছে মাত্র এক ম্যাচ খেলেই তাদেরকে বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল!

আর্জেন্টিনা থেকে ইউরোপের বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিশ্বকাপ খেলতে আর্জেন্টিনাকে সমুদ্র যাত্রার উপরই নির্ভর করতে হয়েছিল। সমুদ্র পথে টানা ১৭ দিনের ভ্রমণ শেষে ইতালিতে পৌঁছে অবশ্য আগের আসরের ধারাবাহিকতার ছিটে ফোঁটাও দেখাতে পারেনি। প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে সমর্থকদেরকে দিয়েছিল একরাশ হতাশা।

১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপের রানার্স আপ আর্জেন্টিনাকে নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই করা হয়েছিল বড় প্রত্যাশা। সবার ধারণা ছিল টুর্নামেন্টের শিরোপার জন্য লড়বে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে ইতালিতে আগের আসরের সেই ধারাবাহিকতার কোনো কিছুই ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। প্রথম পর্বেই বাজে তাদের বিদায় ঘণ্টা।

বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসরের মতো দ্বিতীয় আসরের শুরুটাও ছিল নক আউট পর্ব দিয়ে। ১৬ দলের লড়াইয়ে প্রথম রাউন্ডে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইউরোপিয়ান দেশ সুইডেন। এই ম্যাচে সুইডিশদের কাছে ৩-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে আলবিসেলেস্তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়। নক আউট পর্ব হওয়ায় তাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না।

১৮ সদস্যের আর্জেন্টিনা দলের ১৪ জনই ছিল ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত। এমনকি এই ১৪ জনের কেউ কখনই আর্জেন্টিনায় যাননি। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া মাত্র চার ফুটবলার ছিল আলবিসেলেস্তা স্কোয়াডে।

অবশ্য আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপে খেলার কোনো সুযোগই ছিল না। ১৯৩০ বিশ্বকাপে খেলার আমন্ত্রণ পাওয়া আর্জেন্টিনা ইতালি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগই পায়নি। আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেয়ে প্রথম রাউন্ড খেলেই তাদেরকে ঘরে ফিরতে হয়।

Link copied!