• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আইএইচএফ-এর এক যুগ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম
আইএইচএফ-এর এক যুগ

ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইচএফ)-এর এক যুগ পূর্ণ হয়েছে। রোববার (৪ জুন) প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে এটি উদযাপন করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার, স্টেক হোল্ডার, পুরোনো ও নতুন সকল সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় আইএইচএফ-এর ৮টি স্কুল শাখার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও হাতেখড়ি যুব প্রশিক্ষণ প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থী ও অন্য মাঠকর্মীদের নিয়ে একযোগে ১২ বছরের এই মুহূর্ত উদযাপন করা হয়। এছাড়া আইএইচএফ-এর অন্যতম ‘প্রতিভা’ নামে জীবিকা নির্বাহমূলক প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থী নারীদের নিয়ে দিনটি পালন করা হয়।

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস-এ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন আইএইচএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আদনান হোসেন।

আয়োজনে তিনি তার বক্তব্যে সংগঠনটির বিগত ১২ বছরের যাত্রার অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন। সেইসাথে আইএইচএফ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে এত বছর ধরে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও প্রজেক্ট পরিচালনা করে আসছে তা উপস্থাপনা করা হয়। পরে উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটা হয়। অতিথিদের মধ্যে মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়। এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে।

বিগত ১২ বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও আইএইচএফ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা আরো বেশি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

আইএইচএফ সম্পর্কে
ইট্স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আইএইচএফ) একটি নিবন্ধিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের বিনামূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎকে উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে আইএইচএফ ৮টি স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘লার্নিং ডিসএবল’ শিশুদের জন্য একটি বিশেষ স্কুল এবং পথশিশুদের জন্য একটি ডিজিটাল মোবাইল স্কুল। সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক, পাঠক্রমবহির্ভূত শিক্ষা, বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য শিক্ষাকে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আইএইচএফ শুধু শহর বা গ্রামেই নয়, রংপুরের কোলকোন্দ চর এলাকাতেও একটি স্কুল পরিচালনা করছে, যেখানে শিশুদের জন্য আশেপাশে আর কোনো স্কুল নেই।

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইএইচএফ বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার জনেরও বেশি শিশুর জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তৈরি করেছে। এসব এলাকার শিশুরাও যাতে তাদের স্বপ্ন দেখার সাহস করতে পারে, এজন্য আইএইচএফ স্কুলের পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে ইনক্লুসিভ করে এবং শিশুদের শেখানোর ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপদ্ধতির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ইন্টারেক্টিভ বিভিন্ন পদ্ধতির। প্রতিষ্ঠানটির মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প ‘অঙ্কুর’-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করে আসছে। এছাড়াও আইএইচএফ-এর প্রতিটি স্কুলে শিশুদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম, যেমন: খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্যও উৎসাহিত করা হয়।

শিশুদের স্কুলে আগ্রহী করার জন্য এবং শিশুশ্রম থেকে দূরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানটির ‘প্রতিভা’ নামক জীবিকা নির্বাহমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে এই শিশুদের মায়েদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নারীরা বিনামূল্যে সেলাই এবং কারুশিল্পের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেরাই সাবলম্বী হতে পারে। সেন্টার ফর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট (সিএফওয়াইডি) নামে আরেকটি যুব উন্নয়ন প্রোগ্রাম রয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবসমাজ ব্যক্তিগত এবং পেশাদারী দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনশক্তি হিসেবে দেশকে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের সুযোগ পাচ্ছে।

Link copied!