যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) ওয়েবসাইট থেকে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের তথ্য গায়েব হয়েছে। আইনি কোনো বিধি-নিষেধ না থাকার পরও আরজেএসসি তাদের ওয়েবসাইট থেকে কোম্পানির প্রোফাইল সরিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কী কারণে নোভার্টিসের তথ্য মিলছে না সে ব্যাপারে উত্তর দিতে পারেননি আরজেএসসির নিবন্ধক এ কে এম নূরুন্নবী কবির।
প্রোফাইল উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৫ জুন ও ২৬ জুন দুই দফা আরজেএসসির কাছে চিঠি দেয় নোভার্টিস।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নোভার্টিসের বিরুদ্ধে কোনো আইনি কার্যক্রম চলমান নেই। কাজেই কোম্পানিটির প্রোফাইল যেন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠি পাওয়ার আট দিনেও আরজেএসসি বিষয়টির সুরাহা করেনি।
অভিযোগ উঠেছে, বেআইনিভাবে আরজেএসসি তাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সরিয়েছে নিয়েছে।
সাধারণত কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে যদি মামলা থাকে বা কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকে অথবা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত চলমান থাকে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রোফাইল লক করা হয়। এরকম হলেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নাম সার্চ দিলে ওয়েবসাইটে শুধু কোম্পানির নাম দেখা যায়। কিন্তু নোভার্টিসের নাম লিখে সার্চ দিলে নামও পাওয়া যাচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ কোম্পানিটির সব তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। আরজেএসসি’র এই প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলছেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এরশাদুল বারী বলেন, “কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে যদি আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তাহলে এভাবে আরজেএসসির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সরিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি পদক্ষেপ।”
প্রোফাইল ‘লকড’ থাকলে বা ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকলে শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা যায় না। বিষয়টিকে কোম্পানিটির অধিকার হরণ হিসেবে দেখছেন ওই আইনজীবী।
কী কারণে নোভার্টিসের প্রোফাইল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে আরজেএসসির নিবন্ধক একেএম নূরুন্নবী কবির বলেন, “কী কারণে প্রোফাইলটি বন্ধ আছে, তা এখন বলতে পারছি না। কিছু জানি না, অফিসে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বলতে হবে।”