• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

তালেবান জুজু


মাহফুজুর রহমান
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১, ০২:৫৯ পিএম
তালেবান জুজু

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনা অনেককে অবাক করেছে। যারা ওই অঞ্চলের ঘটনা-প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতেন, তারাও কমবেশি অবাক হয়েছেন। এই অবাক হওয়ার মাত্রা বাংলাদেশের ভেতরে যেমন, বাইরেও তেমন।

আন্তর্জাতিক কোন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকা যখন লিখে তখন সেইসব মূলত পশ্চিমা সংবাদ এজেন্সি নির্ভর হয়। কারণ সেইসব ক্ষেত্রে সরেজমিনে প্রতিবেদনের সামর্থ্য বাংলাদেশের অধিকাংশ তথ্যমাধ্যমের নেই। বাইরের সূত্র থেকে যখন তথ্য সংগ্রহ করা হয় তখন একপেশে তথ্য পাওয়ার ঝুঁকি সবচে বেশি। তবু তা মন্দের ভালো। কিন্তু যখন সংবাদ বা তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং মিডিয়া এজেন্সি থেকে ঘটনা প্রবাহের উপর পর্যালোচনা বা মতামত সংগ্রহ করা হয় তখন তা একেবারে একপেশে হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় খুব একটা বাছবিচার না করে সেইসব ঢালাওভাবে প্রকাশ করা হয়। ফলে দেশের ভেতরে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা সীমিত হয়ে যাচ্ছে, এবং জনগণও প্রকৃত তথ্য না পেয়ে বরং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা তথ্য বা তথ্য বিশ্লেষণের মুখোমুখি হচ্ছে। সামাজিক গণমাধ্যমগুলোর লাগামহীন ও দায়িত্বহীন ব্যবহার এই বিপদ আরো বড় করছে।

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমি এই বিপদ উপলব্ধি করছি। সেজন্য সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ না করে বরং সাধারণভাবে প্রচলিত কয়েকটি বিশ্বাসের সারবত্তাহীনতা নিয়ে লিখতে চাচ্ছি।

পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম, টক শো’তে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের(!) মতামত এবং সামাজিক গণমাধ্যমের সর্বত্র বলা হচ্ছে তালেবানরা খুব দ্রুত কাবুল দখল করে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ১৬ আগস্ট যে বক্তৃতা দিয়েছেন, সেখানেও তিনি দ্রুততার কথা উল্লেখ করেছেন। এমনও বলা হচ্ছে যে পশ্চিমাদের ধারণা ছিলো আফগান সরকার অন্তত ছ’মাস তালেবানদেরকে প্রতিরোধ করতে পারবে। এমনকি যখন হেরাত, কান্দাহার এবং মাজার-ই-শরিফের পতন হয় তখনও পশ্চিমারা অন্তত কাবুলের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। এমন দম্ভোক্তি খোদ আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনিও করেছেন।

আমি ভিন্নভাবে দেখি। আমি বলবো, তালেবানরা কাবুল পুনরুদ্ধার করতে অতি দীর্ঘসময় নিয়েছে। বিশ বছর! ২০০১ সালে যা হারিয়েছে তা পুনরুদ্ধারে ২০২১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। কখনো কি মনে হয়না যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে চালিয়ে এই সময়টুকুকে দীর্ঘায়িত করেছে? আলোচনা তাদের জন্য তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার একটা কৌশল ছিলো।

কে বলবে এই আলোচনা ঠিক কখন শুরু হয়েছিলো! আমি তো বলবো প্রথম দিন থেকেই তালেবানদের সঙ্গে কার্যকর আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সুযোগ খুঁজেছে। ২০১১ তে পাকিস্তানের মাটিতে ওসামা বিন লাদেনের সন্ধান পাওয়া এবং ২০১৩ তে তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের সুযোগ এনে দেয়। যদিও তালেবানরা সেই মৃত্যু ২০১৫ পর্যন্ত গোপন রাখে কিন্তু তা আলোচনার জন্য বড় ধরনের বাধা ছিলো না।

ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুদণ্ড এবং মোল্লা ওমরের স্বাভাবিক মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে যে অংশ আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটানোর পক্ষে ছিলো, তাঁদেরকে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালি করে তোলে। তাঁরা ‘মিশন একমপ্লিশড’ অর্থাৎ ‘কাজ হয়ে গেছে’ ধরনের বক্তব্য বলতে থাকে। তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা তখন গতিশীল হয়। ২০১১-২০১২ থেকেই কাতারের মধ্যস্থতায় কিছু কিছু আলোচনার উদ্যোগ প্রকাশ্য হতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ‘গুড তালেবান, ব্যাড তালেবান’ শব্দসমূহ ব্যবহার করতে থাকে প্রেস ব্রিফিংগুলোতে।

এখন প্রশ্ন হলো, যদি ২০১১, ২০১৩ বা ২০১৫ তে ‘কাজ’ হয়ে গিয়ে থাকে, তবে তারপরও যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা কেন একটা ব্যয়বহুল ও রক্তক্ষয়ী মিশন চালিয়ে গেলো। আমি এখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট উচ্চাভিলাষ দেখতে পাই।

প্রথমত: এই মিশন নিয়ে দেশের ভেতর বা আন্তর্জাতিকভাবে খুব বড় ধরনের কোন সমালোচনা ছিলোনা। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেরও অনুমোদন ছিলো। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র স্বাচ্ছন্দে এই মিশন চালাতে পারছিল। খুব একটা জবাবদিহিতার প্রয়োজন হচ্ছিল না। বরং তথ্য মাধ্যমসমূহকে কৌশলে ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপি একটা অনুকূল অবস্থা অব্যাহত রাখতে পেরেছিল।

দ্বিতীয়ত: বিপুল পরিমাণ অর্থের চালান বা যোগান। এই অর্থের প্রকৃত পরিমাণ জানা খুব কঠিন কারণ এই বরাদ্দ বা ব্যয়ের বড় অংশই গোপনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য মাধ্যমগুলো দুই ট্রিলিয়ন ডলারের যে ব্যয় উল্লেখ করছে তা কেবল প্রকাশ্য খরচ। লোক দেখানো খরচ। এমনিতে যুদ্ধের খরচ অডিট বা নিরীক্ষা হয়না। এরপর গোয়েন্দা বা গোপন বরাদ্দ বা বিশেষ বরাদ্দের পরিমাণ হয়ত এখনো প্রকাশ্য হবে না। কোন সরকারই সেই জবাবদিহিতায় যেতে চাইবে না। এর উপর যদি ঋণ ও সুদের পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে আরো কয়েকগুণ বাড়বে।

প্রশ্ন ছিলো এতো ব্যয়ের পরও কেন তা অব্যাহত ছিলো। উত্তরটা সোজা। যত ব্যয়, ততো লাভ। যুদ্ধের সময় সমরাস্ত্র, সরঞ্জাম, লজিস্টিক্স, অপারেশন পরিচালনা– এইসবের পেছনে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সরবরাহকারির মাধ্যমে। সরবরাহকারিরা ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হয়েছে। কারণ ব্যয়ের কোন জবাবদিহিতা ছিলো না। শুধু সামরিক ব্যয় না, অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় করা অর্থের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এর ভাগ তথ্য মাধ্যম ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার পকেটেও গেছে। লভ্যাংশের লোভে ৩,৮১৪ জন সরবরাহকারি প্রাণ হারিয়েছেন। এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া।

একদিন নিশ্চই কেউ অনুসন্ধান করে বের করবেন ট্রিলিয়ন ডলারের ভাগ কে কতো পেয়েছে। তবে যেই পেয়ে থাকুক, এদের কেউই চাইবেনা এমন সোনার হাঁসকে বিদায় দিতে। ফলে এরাই এখন প্রকারান্তরে বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও তথ্য মাধ্যমকে কিনে নেবে। বিনিময়ে আমরা দেখবো আফগানিস্তানের এমন চিত্র যাতে মনে হবে, আহা, যুক্তরাষ্ট্রের একদম ঠিক হয়নি এমন সোনার দেশ শকুনের হাতে ছেড়ে আসার।

তৃতীয় কারণটি সম্ভবত সবচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো কৌশলগত কারণ–স্ট্র্যাটেজিক।

চিন্তা করুন আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অবস্থান। চীন এবং ইরানের সঙ্গে এর সীমান্ত আছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আছে। রাশিয়া এবং ভারত খুব দূরে না। কিছু অদূরে নিত্য খবর জন্ম দেওয়া মধ্যপ্রাচ্য, খনিজ সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়া। ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটা জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের পা ফেলার মতো কোন জায়গা নেই। সামর্থ্য বিবেচনায় পাকিস্তান কোন নির্ভরযোগ্য মিত্র না। আর চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক যেকোন সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে ম্লান করে দিতে পারে। চীন, রাশিয়া ও ইরানের কল্পিত অক্ষশক্তি কোন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিতে পারে।

ফলে ন্যাটো ও সমমনা দেশগুলোর অংশগ্রহণে এবং নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র যদি আফগানিস্তানে তার অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারতো তবে একে খুঁটি ধরে আশেপাশে সে অবলীলায় ছড়ি ঘোরাতে পারতো।

তালেবানরা সাধারণভাবে পশতুন, এবং তাদের মূল বাসস্থল আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূবে। উত্তরে বরং তাজিক, উজবেক, হাজারা ও তুর্কমেন জাতিগোষ্ঠির অবস্থান। যদিও এরা জাতীয় পরিচয়ে আফগান কিন্ত নৃতাত্ত্বিকভাবে দীর্ঘদিন সোভিয়েত বলয়ে থাকার কারণে এদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবধারা অতোটা প্রবল না। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এমনও ভেবে থাকতে পারতো যে আফগানিস্তানকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে দক্ষিণ অংশ তালেবানদের হাতে ছেড়ে দিয়ে উত্তরে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে।

 

সর্বশেষ ধারণাটি খোদ তালেবানদেরকে নিয়ে। যেহেতু ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে আফগানিস্তানে ইসলামিক এমিরেত প্রতিষ্ঠা এবং শরিয়া আইন চালুর নামে এক পশ্চাদপদ সমাজ ব্যবস্থা ও উদ্ভট রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণ করেছিলো, সেহেতু পশ্চিমা তথ্য মাধ্যম তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশেও তথ্য ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে হাহাকার পড়ে গেছে আফগানিস্তান আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছে বলে। অসহায় মেয়েদের ছবি দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এইসব সাম্প্রতিক তালেবানদের কাজ। আর বহুজন বলছে তালেবানদের বিশ্বাস করতে নেই। তারা এখনো আল-কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠির দোসর।

পশ্চিমাদের মতো আমরাও অতি মাত্রায় ‘জাজমেন্টাল’ – অর্থাৎ আগে থেকেই ধরে নিয়েছি তালেবানরা মৌলবাদি, পশ্চাদপদ। গতবারের মতো এবারেও তারা নারী উন্নয়ন ও শিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তাদেরকে আপাদমস্তক বোরখা পরাবে বা ঘরেবন্দি করে রাখবে। বিদেশিদের বিশেষ করে সাহায্য সংস্থায় কর্মরতদের কল্লা কাটবে। কেউ কেউ সেরকম খবর প্রচারও করছে। বলছে, অবিবাহিতাদের জোর করে ধরে তালেবানরা বিয়ে করছে।

প্রশ্ন হলো এইসবের কতটুকু সত্য? বিগত তিন মাস বিশেষ করে শেষ ১১ দিনের যুদ্ধে প্রাণহানি তো হয়েছেই। কোথাও কোথাও নারীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কিছু ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে তা বিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই। এইটুকু তো বোঝা গেছে যে কাবুল দখলের পরও তালেবানরা কোন উগ্রতা দেখায়নি। জ্বালাও পোড়াও করেনি। তালেবানরা এখনো সরকারও গঠন করেনি। সংবিধান বিলুপ্ত করেনি। তালেবানরা ২০০৪ এর সংবিধান অনেক আগেই বর্জন করেছে। কিন্তু কখনো তাঁরা বিকল্প সংবিধানের খসড়া প্রকাশ করেনি। হয়তো সরকার গঠনের পর ক্রমান্বয়ে এইসব বিষয়ে হাত দেবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ঢালাওভাবে অপবাদ দেওয়া ‘প্রি-জাজমেন্টাল’।

সম্প্রতি তালেবান প্রতিনিধিরা যেসব ঘোষণা দিয়েছে তার কোনটাই অপরিণত সিদ্ধান্ত না। তাঁরা রক্তপাত এড়িয়েছে। নারীদেরকে ঘরে বন্দি করেনি। হিজাবের পক্ষে বললেও বোরখার পক্ষে বলেনি। সরকারি কর্মচারীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। বিদেশিদেরকেও আশ্বস্ত করেছে নিরাপত্তার ব্যাপারে। আর জানিয়েছে আফগানিস্তানের মাটি তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবেনা।

এইসবের কোনকিছুই চূড়ান্ত না। তালেবানদের ক্ষমতা যত জোরালো হবে, ততো তাঁরা নিজেদের নীতি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তখন প্রকৃত পরীক্ষায় পড়বে। কিন্তু সেইসব না দেখে, না জেনে এখনই অনুমান করে সব বিশ্বাস করা গুজবে কান দেওয়ার মতোই অপরিণত কাজ।

বিশ বছরে দল হিশেবে তালেবানরা অনেক পরিণত হয়েছে। অনেক পরীক্ষা ও ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যখন সমঝোতায় বসেছে, তখন যেরকম পরিণত কূটনীতি দেখিয়েছে, সেই একই দল ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন স্বার্থ বলয়ে চীন কিংবা রাশিয়ার সঙ্গেও সমান মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। বিশ বছর আগের তালেবানকে আমরা এমন দেখিনি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, পরিবর্তিত বাস্তবতায়, নতুন প্রজন্মের এই তালেবান, আগের ‘তালেবান জুজু’র চেয়ে অনেকটাই আলাদা।

 

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

 

Link copied!