মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহর আমন্ত্রণে ২২ ডিসেম্বর (বুধবার) মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ঢাকা ও মালের মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর, বন্দি স্থানান্তর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
চারটি প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক হলো আয়কর সংশ্লিষ্ট দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ চুক্তি; বন্দীদের স্থানান্তর চুক্তি; বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক (নবায়ন); যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
ড. মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে যোগ্য স্বাস্থ্য পেশাজীবী নিয়োগবিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে। দুই দিনের এ সরকারি সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেওয়া হবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপে সর্বাধিকসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী রয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ উভয় জনশক্তির জন্য আরও কাজের সুযোগ তৈরি করবে।”
ড. মোমেন বলেন, “২২ ডিসেম্বর বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইটে মালে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহ আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং এদিন বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। একই দিন প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভবনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিবৃতি ইস্যু করা হবে এবং দুই নেতা যৌথভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হবেন। এ সফরকালে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা মালদ্বীপের জাতীয় সংসদেও ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : বাসস