বৃষ্টির পানি ১৫ মিনিটে নিষ্কাশিত হবে : মেয়র তাপস

বৃষ্টির পানি ১৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্কাশিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, “অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার র‍্যাংকিন স্ট্রিটসংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, “প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি এবং সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র ৯টি জায়গা ছাড়া আর কোথাও পানি জমে থাকেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা- অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।”

বার্ষিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, “ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়ার পর থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা বার্ষিক সূচি অনুযায়ী প্রত্যেক বছরই সকল নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। সেই কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি। আমরা লক্ষ্য করি, এই নর্দমাগুলো প্রতিবছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমন বিভিন্ন ধরনের (গৃহস্থালি) সামগ্রী পাওয়া যায়, তেমনি পায়ঃপ্রণালী সামগ্রী-বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে।”

জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা করে মেয়র বলেন, “নর্দমাগুলোতে আমরা কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই, যা পাওয়া যায় না। নর্দমাগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি। আপনারা দয়া করে এসব বস্তু আমাদের নর্দমায় ফেলবেন না।”

এর আগে মেয়র ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কাজলা খাল, তৃতীয় ঢাকা মেয়র কাপ আন্তওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর ক্রিকেট খেলার ফাইনাল ম্যাচ ও আদি বুড়িগঙ্গার উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।