নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রবাস ভ্রমণের নামে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় আর করা হবে না। তবে যেখানে খরচ জরুরি, সেখানে অবশ্যই ব্যয় করা হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও ব্যয়-সাশ্রয়ী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সানাউল্লাহ বলেন, “ভোটের খরচ ৩ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে প্রয়োজনীয় কাজে খরচ হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ে হওয়া নির্বাচন পঁচা নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। কারণ, সেখানে প্রহসন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কখনো পক্ষপাতমূলক বা প্রহসনের নির্বাচন চায় না। আপনারাও (কর্মকর্তারা) যেন এমন কিছু না করেন। করলে দায় আপনাদের নিতে হবে। আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই হবে।”
ভোটার তালিকা প্রণয়নে নারী অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়ে তিনি জানান, সামাজিক ও ধর্মীয় নানা কারণে অনেক নারী ভোটার হতে চান না। এ জন্য নতুন করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে।
মৃত ভোটার বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলেই হবে না। স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে বাদ পড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
এনআইডি-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়েও কঠোর অবস্থান জানান তিনি। তার ভাষায়, “মানুষের মাঝে এখনও অস্বচ্ছ ধারণা আছে। অনেকেই মনে করেন ঠিকানা পরিবর্তন মানেই নতুন এনআইডি করতে হবে। এই ভোগান্তির সুযোগ নিয়ে দালালরা সক্রিয় হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। দালালদের সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
এছাড়া তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে (ইটিআই) আরও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখান থেকে অনার্স, মাস্টার্স ও রিসার্চ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।”
সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।