• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২,
  • ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

২ ফায়ার ফাইটারের পর চলে গেলেন ইন্সপেক্টর জান্নাতুলও


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
২ ফায়ার ফাইটারের পর চলে গেলেন ইন্সপেক্টর জান্নাতুলও
ইন্সপেক্টর (অফিসার) খন্দকার জান্নাতুল নাঈম। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর (অফিসার) খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৭) মারা গেছেন।

রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে রাসায়নিক রাসায়নিক আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হন জান্নাতুল নাঈম। তাঁর শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এই অগ্নিদুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারজন আহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। ঘটনার পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) মারা গেলেন ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর জান্নাতুল নাঈম।

এ ছাড়া শুক্রবার দগ্ধ এক দোকান কর্মচারী আলআমিন হোসেন বাবু (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আলআমিনের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মৃত রতন হাওলাদার। টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর এলাকায় থাকতেন আল আমিন।

ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ২৪ আগস্ট ১৯৮৮ সালে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

তিনি এক সন্তানের জনক। তার বাবা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মাতা দেলোয়ারা বেগম।

Link copied!