স্বামী মারা যাওয়ার প্রায় ৯ বছর পর সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক বিধবা নারী। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই বিধবা নারীর ঘরে ভিড় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের রোষের মুখে এক পর্যায়ে নবজাতকের পিতৃপরিচয় প্রকাশ করেন বিধবা নারী কারিমন বেওয়া। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীল বাঘা উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
করিমন বেওয়ার দাবি, তার গর্ভে জন্ম নেওয়া এই সন্তানের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য শুকচান্দ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় থানা পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা। এর আগেই আত্মগোপনে চলে যান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ বছর আগে দুই ছেলেসন্তান ও এক মেয়েসন্তান রেখে মারা যান কালুহাটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আকছেদ আলী। এরপর সন্তানদের নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন বিধবা নারী কারিমন বেওয়া (৩৫)। খেয়ে না খেয়ে চলতে থাকে কারিমন বেওয়ার জীবনযুদ্ধ। এরই মাঝে ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য শুকচান্দ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই বিধবা নারী। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সাইফুল ইসলাম।
রোববার সন্ধ্যার আগে নিজ বাড়িতেই এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন কারিমন বেগম। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই নারী নিজ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন।
কারিমন বেগম বলেন, ২০১৬ সালে আমার স্বামী আকছেদ মারা যান। দুই ছেলেসন্তান ও এক কন্যাসন্তান নিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলছিলাম। সাইফুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আমি গর্ভবতী হই। সে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে। আজকে আমার একটি পুত্রসন্তান হয়েছে। বিয়ে করার কথা বলে সাইফুল আমার সঙ্গে যে অন্যায় করেছে, আমি তার বিচার চাই। এই নবজাতক সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই।
ঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি রাতেই জানতে পেরেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।