দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব’, পাশাপাশি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে দেশে প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময় তিনি বাংলাদেশে থাকতে চান।
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘কিছু সংগত কারণে হয়ত ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
সেটা নির্বাচন-পূর্ব সময় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে... আমি জনগণের মাঝে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
তারেক রহমানের দেশে না ফেরার পেছনে নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা প্রভাব ফেলেছে, এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি উত্তর না দিলেও বলেন, ‘বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছি, সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও।’
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান দাবি করেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তার ভাষায়— ‘আমার কথা বলার অধিকার কোর্ট থেকে রীতিমতো আদেশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রেস ক্লাবে কথা বলার পরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ‘ফেরারি’ কাউকে কথা বলতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি এবং পৌঁছেছি। গণমাধ্যমে যে আমি কথা বলিনি, তা নয়। আপনারা শুনতে পারেননি বা ছাপাতে পারেননি।’
সাক্ষাৎকারজুড়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বারবারই ফেরার আগ্রহ এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার বার্তা দিয়েছেন। তার কথায়, ‘ফিজিক্যালি আমি এই দেশে না থাকলেও গত ১৭ বছর ধরে মন-মানসিকতায় বাংলাদেশেই ছিলাম।’
উল্লেখ্য, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলেও তিনি আপিল করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান এবং আর ফিরে আসেননি। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা