নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও বাজারে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না। এ জন্য ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতাকেই বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের বাধার কারণেই নিত্যপণ্যের বাজার দর কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামছে না।
সারা বছর কখনো পেঁয়াজ-মরিচ, কখনো চাল-ডাল-তেল—সব সময়ের উচ্চমূল্যে ভোক্তারা থাকছেন চাপে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাজারে সরবরাহ সংকট ঠেকাতে ইতিমধ্যে আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আসবে, যাতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
এ সময় এক প্রশ্নে তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টানেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
এ প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আমাদের কিছুটা নিউট্রিশনের ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু ও মায়েদের মধ্যে। এজন্য ভিজিএফ, বিশেষ ট্রাকসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের সময় পরিবারপ্রতি ২০ কেজি করে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সুষমতার অভাব আছে। আমরা চালের ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু অন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কেনার সক্ষমতা অনেকের কম। প্রোটিন বা আমিষের ঘাটতি বেশি—বিশেষ করে ডিম খুব জরুরি হলেও অনেকের নাগালের বাইরে।