• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের বাজার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম
কোরবানির সংগ্রহকৃত মাংসের বাজার

বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে পশু কোরবানির মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। যদিও সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারেননি। যারা কোরবানি দিতে পারেননি তারা ভিড় করছেন কারওয়ান বাজার এলাকায়।

কেননা আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষেরা তাদের সংগ্রহকৃত কোরবানির মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কারওয়ান বাজারে। এছাড়া কোরবানিকৃত গরুর মাংস, মাথা, পা ইত্যাদি সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন পশু ব্যবসায়ীরা। সংগ্রহকৃত এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই।

এতে একদিকে যেমন বাজারের তুলনায় কম দামে মিলছে মাংস অন্যদিকে কিছু অর্থ পাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর এ কারণে ক্রেতারা এসেও ভিড় জমাচ্ছেন এ স্থানে।

বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা যায়, অনেকে পলিথিনে ভরে মাংস নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। তবে সেসব মাংসের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এমনই একজন বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে যেসব মাংস বিক্রি হচ্ছে তাতে মাংসের সঙ্গে চর্বিও থাকে। কিন্তু আমারটা একেবারে খাঁটি মাংস। কোনো চর্বি বা হাড্ডি নাই।

সুলতান মিয়া নামে এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, পরিচিত নানা জায়গা থেকে মাংস কিনে এনে আমরা এখানে বিক্রি করি। মোটামুটি কম দামে এখান থেকে কাস্টমাররা তাজা কোরবানির মাংস কিনতে পারেন। এখানে মূল মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই। ৪টা পা একত্রে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। ফ্যাপসা বা এ জাতীয় জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকার মধ্যেই।

ব্যবসায়ী জব্বারের বলেন, যেসব জায়গায় কোরবানি হয়, আমরা সেখান থেকে মাংস, আস্ত পা, মাথা এসব কিনে নিয়ে আসি। পরে এখানে এনে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। অনেকেই আছে কোরবানি দিতে পারে না বা বাজার থেকে মাংস কিনতে পারে না, তারা আমাদের এখান থেকে মাংস কেনে।

রিকশাচালক ইসমাইল বলেন, কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য তো নাই, কিন্তু মাংস খাইতে মন চায়। তাই এখানে কিনতে আসছি। বাজারের চাইতে কম দামেই এখানে পাওয়া যায়।

Link copied!