মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (৪ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না। তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?”
সারজিস আলম লিখেছেন, “মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল, মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মতো অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
সারজিস আলম আরও লিখেছেন, “ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত।”