• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

অবশেষে গ্রেপ্তার বেনজির


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
অবশেষে গ্রেপ্তার বেনজির
ছবি: সংগৃহীত

নানা ছলনা ও প্রলোভনে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হেনস্তা করে চলেছেন মো. বেনজির হোসেন (৪১) নামের এক ব্যক্তি। ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসকের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় মো. বেনজির হোসেন নামের এক ভুয়া মেজরকে অবশেষে গ্ৰেপ্তার করেছে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। মঙ্গলবার (৩ জুন) যশোর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাদী একজন চিকিৎসক এবং প্রতিনিয়ত নিজের চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় মো. বেনজির হোসেন চিকিৎসা নিতে আসেন তার চেম্বারে। একপর্যায়ে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন ও ক্যাডেটে পড়াশোনা করেছেন বলে জানান। একপর্যায়ে ওই নারী চিকিৎসককে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ওই চিকিৎসককে আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ সময় সুকৌশলে বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ছাড়া আসামি বাদীকে জানান যে তার বিদেশে যোগাযোগ রয়েছে এবং তাকে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। এই প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ওই নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। একপর্যায়ে বাদী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ও টাকা ফেরত চাইলে আসামি তাকে কোনো টাকা ফেরত দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এরই মাঝে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে বেনজির কোনো মেজর নন, তিনি একজন প্রতারক। পরে বিষয়টি জানালে বেনজির ওই চিকিৎসকের শিশুসন্তানকে গুম এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরই ওই চিকিৎসক বেনজিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মামলার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় যশোর সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর থানাধীন মির্জাপুর এলাকা থেকে বেনজির হোসেনকে গ্ৰেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় পর্নোগ্রাফিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার প্রতারক।

Link copied!