২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক এবং করে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এতে আমদানি শুল্ক স্তরে যেমন পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে, তেমনি পরিবর্তন আসছে সম্পূরক শুল্কেও। শুল্ক-করের প্রভাবে নতুন করে বাড়তে পারে সিমেন্ট, সিগারেটসহ অনেক পণ্যের দাম। এ ছাড়া কমতে পারে কিছু পণ্যের দামও। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন করে শুল্ক বাড়ানো হলে এটি মানুষের জীবনযাপনের ব্যয়ও আরও বাড়বে।
আসছে বাজেটে পুনর্গঠন করা হবে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কস্তরের সঙ্গে সম্পূরক শুল্কেও। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন বাজেটে ৩ শতাংশ হারে আরেকটি পণ্যের ওপর নতুন করে আমদানি শুল্ক বসতে পারে। এ ছাড়া ৪০ শতাংশের নতুন সম্পূরক শুল্কস্তরও যুক্ত করা হবে। ফলে সিমেন্ট, এলইডি লাইট, সয়াবিন মিল, সিগারেট ও অটোরিকশার মতো কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্যে কর আরোপ করা হলে মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানায় কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমদানি শুল্ক বাড়াচ্ছে যেটার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কিন্তু বাড় বাড় কমে যাচ্ছে। ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় শিল্প বাধাগ্রস্ত হবে। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পারলে উৎপাদন কিন্তু মাঠেই মারা যাবে। সেই কারণেই ব্যবসাবান্ধব হওয়া উচিত।’
বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ককর কমানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। পিভিসি পাইপ উৎপাদন উপকরণের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। কপার ওয়্যারের উপকরণ ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্য আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।