• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

বাসের টিকিটের জন্য হাহাকার, অনেকে বাড়ি ফিরছেন ট্রাকে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
বাসের টিকিটের জন্য হাহাকার, অনেকে বাড়ি ফিরছেন ট্রাকে

আর একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা।এরই মধ্যে অনেকে ঢাকা ছেড়েছেন। অনেকে আবার বাড়ির উদ্দেশে বের হয়ে বাস টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে কেউ কেউ টিকিট পেলেও অনেকে আবার পাননি।এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের সড়কে দেখা যায়, বেশিরভাগ কাউন্টারে লোক নেই। কয়েকটিতে লোক থাকলেও বিক্রির মতো টিকিট নেই। গাড়িগুলো ঢাকায় ঢুকে আসাদগেট থেকে ঘুরে পথে পথে পূর্বের টিকিট কাটা যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
হাজারো মানুষ এসে ভিড় করলেও টিকিট দিতে পারছে না কাউন্টারগুলো। বাধ্য হয়ে গাবতলী লিংক, রইছসহ রাজধানীর বিভিন্ন লোকাল গাড়িতেও দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে উঠছেন। অনেককে দেখা গেছে পিকআপ বা ট্রাকেও উঠতে।

রহমত উল্লাহ নামের একজন বলেন, “ভাই কোথাও থেকে পারলে টিকিট নিয়ে দেন। পরিবার নিয়ে বিপদে পড়ছি।”

তবে যারা একা এসেছেন, কেউ লোকালে কেউ ট্রাকে করেই চলে যাচ্ছেন। যাত্রীর এ চাপ ও গাড়ির সংকটের মধ্যে যুক্ত হয়েছে সড়কের যানজট। গরুর হাটে পশু প্রবেশ ও বাইরের বিশাল সারি। এ চাপ চলে এসেছে সড়কেও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কাজী বাবুল বলেন, “১২টার গাড়ি এখন সাড়ে ৩টায়ও আসতে পারেনি, সড়কে যানজট। আমাদের শিডিউলের গাড়ি, অনলাইনে টিকিট বিক্রি শেষ। আজকে নতুন যাত্রী নেওয়া সম্ভব না। অতিরিক্ত গাড়ি নেই।”

রইছের সুপারভাইজার বলেন, “আমরা মানুষের চাপের কারণে নিয়ে যাচ্ছি বগুড়া। ৯০০ টাকা করে নিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাড়া হিসাব করে তো লাভ নাই। স্বাভাবিক ভাড়া বড় কোম্পানির ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আমরা তো যাব নিয়ে, আসব খালি।”

একই অবস্থা ছিল রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকাতেও।এখানে দুপুরের দিকে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছিলেন। বাস আসতেই সবাই যেন হুমরি খেয়ে পড়ছেন, কীভাবে বাসে ওঠা যায়। অনেকে বাসে উঠতে না পেরে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ট্রাকে ও পিকআপে।

Link copied!