• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬
বাজেট ২০২৫-২৬

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
ছবি : সংগৃহীত

২ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাজেটে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। এর ফলে চাল, ডাল, আটা, লবণ, ভোজ্যতেলসহ একাধিক কৃষি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে পারে।

যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাসের জন্য আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। ফলে যাত্রীবাহী বাসের দাম কমতে পারে। বর্তমানে ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাসের জন্য ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।

পরিবেশবান্ধব পণ্য যেমন সুপারির খোল দিয়ে তৈরি তৈজসপত্র ও হাতে তৈরি মাটির পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি হতে পারে। এসব পণ্য কেনাকাটায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় ক্রেতাকে।

কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফল ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের ওপর উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হতে পারে।

আগামী বাজেটে এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে এলএনজি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। আবার গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। এ ছাড়া বাইরেও এলএনজি মার্জিনের বিল পরিশোধের সময় গ্যাস বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটা হয়। আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির ফলে বিদ্যুৎ, শিল্পের উৎপাদন ও পরিবহন খাতে ব্যয় কমতে পারে।

স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাকেটজাত তরল দুধ, পলিপ্রোপাইলিন স্ট্যাপল ফাইবারে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ছাড়া ই-বাইকের উৎপাদন ও উপকরণ আমদানি, ফ্রিজ-এসির কম্প্রেসার উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব আসতে পারে বাজেট প্রস্তাবনায়।

ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর বিদ্যুৎ ক্রয়ের কর, বিদেশি ক্রেতার এজেন্টের কমিশন বা পারিশ্রমিকের কর কমতে পারে। এ ছাড়া জমি ও ফ্ল্যাট বেচাকেনায় নিবন্ধন খরচ ও উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব আসতে পারে।

এবার বাজেট প্রস্তাবনায় রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা কমতে পারে। ৩৯ সেবার ক্ষেত্রে এখন রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে। ১২ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে শুধু টিআইএন দাখিল করলেই হবে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!